ভালো প্রতিবেশী মানেই একটি শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ ঘর বলে মন্তব্য করেছেন চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এশিয়ানবিষয়ক বিভাগের উপ-মহাপরিচালক লিয়াং জিয়ানজুন। তাই তিনি প্রতিবেশীসুলভ সম্পর্কের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন।

তিনি বলেন, এই কারণেই চীনের কেন্দ্রীয় কমিটি প্রথমবারের মতো প্রতিবেশী কূটনীতি কর্মবিষয়ক সম্মেলনের আয়োজন করেছে, যেখানে প্রতিবেশী সম্পর্ককে চীনের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির ভিত্তি হিসেবে স্পষ্টভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এটি জাতীয় নিরাপত্তা সুরক্ষার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার, সামগ্রিক কূটনৈতিক কৌশলের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান এবং মানবজাতির ভাগ্যগঠনের অংশীদারত্ব নির্মাণের একটি অপরিহার্য অংশ।

 

তিনি সম্প্রতি বেইজিং ইন্টারন্যাশনাল ক্লাবে অনুষ্ঠিত লিন জিয়া ৭ স্যালন-এ এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন।

লিয়াং উল্লেখ করেন, চীনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ বৈদেশিক নীতিমালার সূচনা বা অগ্রগতি প্রথমে প্রতিবেশী দেশগুলোতেই হয়েছে। যেমন বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ, গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ, গ্লোবাল সিকিউরিটি ইনিশিয়েটিভ এবং গ্লোবাল সিভিলাইজেশন ইনিশিয়েটিভ।

 

বর্তমানে চীন প্রতিবেশী ১৭টি দেশের সঙ্গে ভাগ্যগঠনের অংশীদারত্বে সম্মত হয়েছে। সর্বশেষ চুক্তিটি ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে ব্রুনেইয়ের সঙ্গে হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, চীনের প্রতিবেশী কূটনীতিতে শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ, সমৃদ্ধ, সুন্দর ও বন্ধুত্বপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গিকে জোর দেওয়া হচ্ছে।

শুল্ক সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি বলেন, চীন সরবরাহ শৃঙ্খল সহযোগিতা জোরদারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং উল্লেখ করেছে যে শুল্কযুদ্ধে কোনো বিজয়ী নেই।

 

এর ফলে চীন নিজেকে মুক্ত বাণিজ্যের প্রবক্তা, উন্নয়নশীল দেশের স্বার্থের রক্ষক এবং আঞ্চলিক সহযোগিতায় নেতৃত্ব প্রদানকারী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা শুল্ক আরোপের মুখে চীন দৃঢ়ভাবে অবস্থান নিয়েছে, প্রথম সিদ্ধান্তমূলক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের শুল্কনীতি সংশোধনে বাধ্য করেছে বলেও লিয়াং উল্লেখ করেন।

সূত্র: ইউএনবি