ভারতশাসিত কাশ্মীরে পর্যটকদের একটি দলের ওপর গুলি চালিয়েছে বন্দুকধারীরা। এতে অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন।
জম্মু ও কাশ্মীর পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রধান ও সেখানের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি পহেলগামে পর্যটকদের ওপর কাপুরুষোচিত হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
কোনো গোষ্ঠী এই হামলার দায় এখনো স্বীকার করেনি, তবে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এই অঞ্চলে বিদ্রোহীরা ১৯৮৯ সাল থেকে সক্রিয়। তারা স্বাধীনতা অথবা পাকিস্তানের সঙ্গে একীভূত হওয়ার চেষ্টা করছে।
ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) রবীন্দ্র রায়না জানিয়েছেন, এই কাপুরুষোচিত সন্ত্রাসীরা কাশ্মীর ভ্রমণে আসা নিরস্ত্র নিরীহ পর্যটকদের লক্ষ্যবস্তু করেছে।
কিছু পর্যটককে আহত অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৪ সালে প্রায় ৩৫ লাখ পর্যটক কাশ্মীর ভ্রমণ করেছেন, যাদের অধিকাংশই অভ্যন্তরীণ।
২০২৩ সালে ভারত কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে শ্রীনগরে একটি জি২০ পর্যটনসভার আয়োজন করে। এর মাধ্যমে দেখানোর চেষ্টা করা হয় সেখানে শান্তি ফিরছে। কারণ ২০১৯ সালে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর সহিংসতা ও দমনপীড়ন বেড়ে যায়।
ভারতের আনুমানিক পাঁচ লাখ সেনা স্থায়ীভাবে এই অঞ্চলে মোতায়েন রয়েছে। সেখানে অস্থিরতার জন্য ভারত নিয়মিত পাকিস্তানকে দোষারোপ করে।
যদিও ইসলামাবাদ এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে যে তারা কেবল কাশ্মীরের স্বাধীনতা সংগ্রামকে সমর্থন করে।
সূত্র: এএফপি