গাজার তুহফা এলাকায় তিনটি স্কুলে ইসরায়েলি হামলায় ১৮ শিশুসহ অন্তত ৩৩ জন নিহত হয়েছেন। তাছাড়া এসব হামলায় শতাধিক ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) এসব হামলা হয়।

গাজা সরকারের গণমাধ্যম কার্যালয় থেকে জানানো হয়, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে শুধু দার আল-আরকাম স্কুলে হামলায় ১৮ শিশুসহ ২৯ জন নিহত ও শতাধিক আহত হয়েছেন। আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা স্কুলটিতে কমপক্ষে চারটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়।

 

সূত্র জানিয়েছে, অন্য চার ব্যক্তি নিহত হয়েছেন ফাহাদ স্কুলে হামলার ঘটনায়। তুহফা এলাকায় অবস্থিত এই স্কুলটিও বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার হচ্ছিল।

তুহফা এলাকায় হামলার শিকার অন্য একটি স্কুলের নাম শাবান আলরাইয়েস স্কুল। তবে সেখানে কতজন লোক হতাহত হয়েছেন তাৎক্ষণিক তা জানা যায়নি।

 

এদিকে, বরাবরের মতো এবারও ইসরায়েলি বাহিনী দাবি করেছে, তারা গাজার সিটিতে হামাসের একটি ‘কমান্ড সেন্টারে’ হামলা চালিয়েছে। তাছাড়া আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত এসব স্কুলের সঙ্গে তাদের হামলার সম্পর্ক কী, সেটাও স্পষ্ট করেনি তারা।

 

এদিকে, গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় নতুন করে ইসরায়েলি হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে ১১৫০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ফলে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের ‘গণহত্যামূলক আগ্রাসনে’ অবরুদ্ধ ভূখণ্ডটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫০ হাজার ৫২৩ জনে পৌঁছেছে।

সূত্র: আল জাজিরা