দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত চুুক্তি করতে রাশিয়া সফরে গেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। চুক্তির পাশাপাশি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গেও বৈঠক করবেন তিনি।

এ বিষয়ে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি বলেছেন, রাশিয়ার সঙ্গে তার দেশের যে কৌশলগত অংশীদারিত্ব চুক্তি সই হতে যাচ্ছে তা বিশ্বকে আরও বেশি ‘ভারসাম্যপূর্ণ ও ন্যায়সঙ্গত’ করবে।

 

ক্রেমলিন গত সোমবার ঘোষণা করেছে, ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের রাশিয়া সফরের সময় শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) এই চুক্তি সই হবে।

রুশ গণমাধ্যম স্পুৎনিকে প্রকাশিত এক নিবন্ধে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিখেছেন, ইরান ও রাশিয়া তাদের ঐতিহাসিক দায়িত্ব উপলব্ধি করে একটি নতুন ব্যবস্থা তৈরি করছে যেখানে আধিপত্যের পরিবর্তে সহযোগিতা এবং চাপিয়ে দেওয়া নীতির পরিবর্তে সম্মানকে প্রাধান্য দেওয়া হবে।

 

আরাকচি বলেন, ইরান ও রাশিয়া দু’দেশের জনগণের জন্য এমন একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যত নির্মাণের চেষ্টা করছে যা থেকে বিশ্বের অন্যান্য স্বাধীনচেতা জাতিও উপকৃত হবে। ইতিহাসের বিভিন্ন পর্যায়ে ইরান-রাশিয়া সম্পর্ক বারবার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিশ্বের দু’টি শক্তিশালী ও বৃহৎ দেশ ইরান ও রাশিয়া একটি নতুন বিশ্ব ব্যবস্থা তৈরিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তার দেশ ও রাশিয়া উভয়ে এক মেরুকেন্দ্রিক বিশ্ব ব্যবস্থার বিরোধী এবং অপর দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপও পছন্দ করে না।

নিবন্ধে তিনি আরও লিখেছেন, ইরান-রাশিয়া সহযোগিতা শুধু একটি দ্বিপক্ষীয় লেনদেন নয় বরং যেসব দেশ জাতীয় সার্বভৌমত্ব, ন্যায়বিচার ও বহু মেরুকেন্দ্রিক বিশ্বব্যবস্থা চায় তাদের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করে।

 

আরাকচি বলেন, ইরান ও রাশিয়ার মধ্যে ২০ বছর মেয়াদি কৌশলগত অংশীদারত্বের চুক্তি নিছক কোনো রাজনৈতিক দলিল নয় বরং ভবিষ্যতের জন্য একটি রোডম্যাপও বটে। দ্বিপক্ষীয় অর্থনৈতিক সহযোগিতা শক্তিশালী করা এই চুক্তির মূল লক্ষ্য হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

সূত্র: রয়টার্স, পার্সটুডে