ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের বেশ কয়েকটি বিধানসভা ও লোকসভা আসনে উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। লোকসভা উপ-নির্বাচনে ভারতের কেরালার 'ওয়েনাড' আসনে ভাগ্য পরীক্ষা হচ্ছে কংগ্রেস প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর। দেশটির নজর এখন ওয়েনাড়ের দিকে।
আত্মবিশ্বাসী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী তার জীবনের প্রথম নির্বাচন লড়ছেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ওয়েনাড় উপনির্বাচনে ১৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
চলতি বছরের এপ্রিল-মে মাসে অনুষ্ঠিত ভারতের লোকসভা নির্বাচনে কেরালার 'ওয়েনাড' কেন্দ্রের পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশের 'রায়বেরেলি' কেন্দ্র থেকে নির্বাচনে লড়েছিলেন প্রিয়াঙ্কার ভাই কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। দুটি কেন্দ্র থেকেই সাড়ে তিন লাখের বেশি ভোট পেয়ে তিনি বিজয়ী হয়েছিলেন।
আজ ১০ রাজ্যের ৩১টি বিধানসভায় উপ-নির্বাচন হচ্ছে।
এদিকে অস্থিরতার মধ্য দিয়েই পশ্চিমবঙ্গের ৬ কেন্দ্রের উপনির্বাচন শুরু হয়েছে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পাঁচ জেলার ৬ আসনে উপ-নির্বাচন শুরু হয়েছে। বুধবার (১৩ নভেম্বর) টানটান উত্তেজনার মধ্যে উত্তরবঙ্গের ২টি ও দক্ষিণবঙ্গের ৪টি আসনে সকাল ৭ থেকে ভোট শুরু হয়েছে।
উপ-নির্বাচনের পাশাপাশি দেশটির ঝাড়খণ্ড রাজ্যে বিধানসভার নির্বাচন চলছে। এবারের ঝাড়খণ্ড নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রচারণা ‘বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী’ ইস্যুতে সরগরম হয়ে ওঠে। নির্বাচনী প্রচারণায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহসহ বিজেপির অন্য নেতারা বাংলাদেশ থেকে বিপুলসংখ্যক অনুপ্রবেশকারী ঝাড়খণ্ডে ঢুকেছে বলে দাবি করেছেন। অন্যদিকে রাজ্যের শাসক দল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার (জেএমএম) নেতৃত্বাধানী হেমন্ত সোরেনের সরকার বিজেপির এমন দাবিকে ভিত্তিহীন বলে আসছে।
গত সোমবার রাজনৈতিক দলগুলোর ভোটের প্রচার শেষ হয়েছে। আজ ঝাড়খণ্ডের রাজ্যের ৮১টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ৪৩টিতে ভোটগ্রহণ হবে। ভাগ্যপরীক্ষা হবে ৬৮৩ জন প্রার্থীর। মোট ভোটারের সংখ্যা এক কোটি ৩৭ লাখ। প্রথম দফায় মোট ১৫ হাজার ৩৪৪টি বুথে ভোটগ্রহণ হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আগামী ২০ নভেম্বর দ্বিতীয় দফায় বাকি ৩৮টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে ঝাড়খণ্ডে। ২৩ নভেম্বর ভোটগণনা করা হবে।
এদিকে নির্বাচনের প্রাক্কালে ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) বাংলাদেশি নাগরিকদের অবৈধ অনুপ্রবেশ ও অর্থপাচারের অভিযোগে গতকাল মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ড, এ রাজ্য দুটির একাধিক স্থানে তল্লাশি চালিয়েছে।
মূলত অর্থপাচার ও মানবপাচার তদন্তের অংশ হিসেবে এই অভিযান চালাচ্ছে ইডি। জানা গেছে, দুই রাজ্যের ১৭টি স্থানে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে ইডি। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের মধ্যমগ্রামের এক নারীর বাড়িতে গতকাল অভিযান চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কর্মকর্তারা। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, বাংলাদেশ থেকে বেশ কয়েকজন নারীকে কাজের আশ্বাস দিয়ে ভারতে নিয়ে গিয়েছিলেন ওই নারী।
চোরাপথেই তাদের নেওয়া হয়েছিল ভারতে। কাজের আশ্বাস দিয়ে ভারতে নিয়ে গেলেও শেষে তাদের বিভিন্ন অন্যায় ও অবৈধ কাজে জড়িয়ে ফেলা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। পরে ওই চক্রের থেকে কয়েকজন পালিয়ে গিয়ে ঝাড়খণ্ডের একটি থানায় অভিযোগ জানান। সেই মামলার ভিত্তিতে বিষয়টি ইডি পর্যন্ত গড়িয়েছে।
সূত্র : এনডিটিভি, আনন্দবাজার, হিন্দুস্তান টাইমস