পাকিস্তানে সংবিধানের ২৬তম সংশোধনী বিল পাস হয়েছে। এই বিলে বিচার বিভাগের ক্ষমতা সীমিত করে প্রধানমন্ত্রী এবং পার্লামেন্টের ক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে। এখন থেকে প্রধানমন্ত্রী সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দিতে পারবেন।
পাকিস্তান পার্লামেন্টে সাংবিধানিক সংশোধনীর একটি প্যাকেজ পাস করেছে দেশটির সরকার।
নির্বাচনের পর থেকে সরকার ও দেশটির শীর্ষ আদালতের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে দেখা যায়।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান পিপলস পার্টিসহ (পিপিপি) কয়েকটি দলের সমর্থনে পার্লামেন্টে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে।
ভোট পড়ে ২২৫টি। ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের কিছু বিদ্রোহী সদস্য এই সংশোধনীর পক্ষে ভোট দেন।
পার্লামেন্টের বৃহত্তম ব্লক পিটিআই এই সংশোধনী প্যাকেজ সমর্থনে অস্বীকৃতি জানায়।
এই সংশোধনীর অধীনে এখন একটি সংসদীয় কমিটি পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি নির্বাচন করবে। তাঁর মেয়াদকাল হবে তিন বছর। এ ছাড়া সংশোধনীর আওতায় এখন একটি নতুন সাংবিধানিক বেঞ্চও গঠন করা হবে। সংশোধনী পাসের ক্ষেত্রে সরকার কয়েকটি ছোট ধর্মীয় গোষ্ঠীর সমর্থন পায়।
সংশোধনী পাসের আগের দিন গত শনিবার পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আসিফ খাজা বলেছিলেন, এর লক্ষ্য হলো পার্লামেন্টের ওপর হস্তক্ষেপমূলক বিচারিক রায় বন্ধ করা। আসিফ খাজা আরো বলেছিলেন, ‘সবাই একমত যে আমরা পার্লামেন্টের কর্তৃত্বের বিষয়ে আপস করব না।’
সূত্র : এএফপি