ইয়েমেনে ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতিদের লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী। ১৫টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘নৌ চলাচল নির্বিঘ্ন’ রাখতে যুদ্ধবিমান ও যুদ্ধজাহাজ ব্যবহার করে হামলা চালানো হয়েছে বলে পেন্টাগন জানিয়েছে। ইয়েমেনের রাজধানী সানাসহ প্রধান কয়েকটি শহরে কিছু বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে।
চলতি বছরের শুরুর দিকে লোহিত সাগরে জাহাজ চলাচলের পথের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হুতিদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও আরো ১২ দেশ। অভিযানটির নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন প্রসপারিটি গার্ডিয়ান’। মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক কর্মকান্ডের দায়িত্বে থাকা সেন্ট্রাল কমান্ড জানিয়েছে, এবার হুথিদের অস্ত্রসম্ভার, ঘাঁটি ও অন্য উপকরণ লক্ষ্য করে হামলা করা হয়েছে।
হুথি সমর্থিত মিডিয়া জানিয়েছে, যেসব শহর আক্রান্ত হয়েছে তার মধ্যে সানা একটি।
গত সপ্তাহে পেন্টাগন বলেছে, হুথিরা ওই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর জাহাজ লক্ষ্য করে ‘জটিল হামলা’ চালিয়েছে। যদিও হুথিদের নিক্ষেপ করা সব কিছুই গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে।
ইয়েমেনের লড়াইরত গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে দ্বন্দ্ব কিছুটা প্রশমিত হওয়ায় সানায় গত দুই বছর তেমন কোনো বোমাবর্ষণের ঘটনা ঘটেনি। তবে লোহিত সাগরে নৌযানের ওপর হামলার পাশাপাশি হুথিরা সরাসরি ইসরায়েলে বেশ কিছু ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে।
গত নভেম্বর থেকে হুথিরা লোহিত সাগরে অন্তত এক শ জাহাজে হামলা করেছে এবং এর মধ্যে দুটি নৌযান ডুবে গেছে। বিদ্রোহী এই গোষ্ঠীটি বলেছে, গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের প্রতিশোধ নিতে তারা এসব হামলা করেছে।
গত জুলাইয়ে ইয়েমেন থেকে পাঠানো ড্রোন হামলা হয়েছে তেল আবিবে।
এর আগে বছরের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও আরটি দেশ লোহিত সাগরে জাহাজ চলাচল স্বাভাবিক রাখতে হুথিদের বিরুদ্ধে হামলা চালায়। গাজায় হামাস, লেবাননে হিজবুল্লাহর পর মধ্যপ্রাচ্যে হুথিরাও ইরান সমর্থিত নেটওয়ার্কের অংশ।
সূত্র : বিবিসি