দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম বিদেশ সফর হিসেবে ইরাকে গেলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। তিন দিনের সফরে বুধবার ইরাকের রাজধানী বাগদাদে পৌঁছান তিনি। বুধবার ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থার বরাত দিয়ে রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, সফরের প্রথম দিন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মাসুদ পেজেশকিয়ান।

এই সফরে গাজা যুদ্ধ ও মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি নিয়ে বেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষর হতে পারে।

 
 

যুক্তরাষ্ট্র ২০০৩ সালে ইরাকের শাসক সাদ্দাম হোসেনকে উৎখাতের পর ইরান ধীরে ধীরে তেলসমৃদ্ধ দেশগুলোতে নিজের প্রভাব বাড়িয়েছে। ইরাকও কিছু ইরানপন্থী সশস্ত্র দলকে আশ্রয় দিয়ে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান উভয় দেশের সঙ্গেই ইরাকের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে।

সেই সুবাদে ইরাকে আড়াই হাজার মার্কিন সেনা রয়েছে এবং পাশাপাশি ইরান সমর্থিত মিলিশিয়ারাও দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। গত অক্টোবরে গাজায় ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইরাকে পাল্টা হামলা বেড়ে গেছে।

 

পেজেশকিয়ান ইরাকে যাওয়ার আগে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে বলেন, ‘আমরা বেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষরের পরিকল্পনা করছি।’ বাণিজ্য, কৃষি, যোগাযোগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়াতে দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

 

গণমাধ্যমের তথ্যানুসারে, ইরাকি কুর্দিস্তানেও সফরের পরিকল্পনা রয়েছে পেজেশকিয়ানের। এই অঞ্চলে অতীতে আক্রমণ চালিয়েছিল ইরান।
 

পেজেশকিয়ানের সফরের আগে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি বলেন, ‘আমাদের মধ্যে বেশ কয়েকটি সহযোগিতার ক্ষেত্র রয়েছে। এর মধ্যে রাজনৈতিক, আঞ্চলিক ও নিরাপত্তা ইস্যু রয়েছে।’

২০২০ সালে ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলায় নিহত ইরানের মেজর জেনারেল কাসেম সোলাইমানির স্মৃতিস্তম্ভও পরিদর্শন করেছেন পেজেশকিয়ান।