ইসরায়েলের সমালোচনা করেছে আমেরিকা। হামাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমে যেভাবে গাজায় সাধারণ মানুষের ওপর আক্রমণ চালাচ্ছে ইসরায়েল, মঙ্গলবার নতুন করে তার নিন্দা করেছে আমেরিকা।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্য়ান্টনি ব্লিনকেনের মুখপাত্র জানিয়েছেন, দুই ইসরায়েলের অফিসার যেভাবে লাগাতার গাজা স্ট্রিপে আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছেন, তার তীব্র নিন্দা করেছে ওয়াশিংটন। মুখপাত্র জানিয়েছেন, আগের চেয়ে সাধারণ মানুষের মৃত্য়ু কমেছে।
এর আগে ব্লিনকেন ইসরায়েলের দুই কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। ইসরায়েলের যুদ্ধকৌশল বিষয়ক মন্ত্রী রন ডারমার এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জাচি হানেগবি।
কিন্তু হামাস জানিয়েছে, তারা আলোচনার টেবিল থেকে সরে যেতে চায়। গত কয়েক দিন ইসরায়েল যেভাবে সাধারণ মানুষের ওপর আক্রমণ চালিয়েছে এবং বোমাবর্ষণ করেছে, তা মেনে নেওয়া যায় না বলে জানিয়েছেন হামাসের মুখপাত্র।
এদিকে মঙ্গলবারও দিনভর মধ্য এবং দক্ষিণ গাজায় বোমাবর্ষণ করেছে ইসরায়েল। ঘটনায় অন্তত ৫৭ জনের মৃত্য়ু হয়েছে বলে দাবি হামাসের। এদিকে ইসরায়লের দাবি, হামাসের শীর্ষ নেতৃত্বের অধিকাংশই নিহত হয়েছেন। হামাস অবশ্য এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য় করেনি। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেছেন, তাদের দাবি না মানা পর্যন্ত ইসরায়েল হামাসের ওপর এই চাপ বজায় রাখবে।
ইসরায়েলের সেনার বক্তব্য়
মঙ্গলবার ইসরায়েলের সেনার তরফে জানানো হয়েছে, গাজার ৪০টি সামরিক পরিকাঠামোয় আক্রমণ চালানো হয়েছে। প্রতিটি সামরিক কাঠামোই ধ্বংস করা গেছে বলে তাদের দাবি।
কিন্তু হামাসের দাবি, ইসরায়েলের আক্রমণে মঙ্গলবারও সাধারণ মানুষের মৃত্য়ু হয়েছে। একটি বাড়ির ওপর বিমান হামলা চালানো হয়েছে। তাতে অন্তত পাঁচজন সাধারণ মানুষের মৃত্য়ু হয়েছে। খান ইউনিসে চারজনের একটি পরিবার নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে একটি গাড়ির ওপর বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। ঘটনায় ১৭ জন ফিলিস্তিনির মৃত্য়ু হয়েছে। খান ইউনিসে ২৬ জন আহত হয়েছেন।
ইসরায়েলের বক্তব্য়, হামাসের অধিকাংশ নেতার মৃত্য়ু হয়েছে। এখন পর্যন্ত ১৪ হাজার যোদ্ধার মৃত্য়ু হয়েছে অথবা তারা ইসরায়েলের হাতে বন্দি।