প্রথম রাউন্ডের ভোটের পর বিশেষজ্ঞদের অনুমান ছিল ফ্রান্সের সাধারণ নির্বাচনে বিপুল ভোট পাবে ডনপন্থিরা। কিন্তু সকল অনুমান ভুল প্রমাণ করে দ্বিতীয় রাউন্ডের শেষে জয়ের পথে বামপন্থিরা।
বুথ ফেরত সমীক্ষার প্রতিবেদন অনুযায়ী বামপন্থিরা পেতে পারে ১৮৭ থেকে ১৯৮টি আসন। দ্বিতীয় স্থানে প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাখোঁর দলের নেতৃত্বে তৈরি জোট।
বামপন্থিরা সর্বোচ্চ আসন পেলেও সরকার গঠনের জায়গায় তারা পৌঁছাতে পারবে না। ৫৭৭ আসনের ফরাসি পার্লামেন্টে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার জন্য় প্রয়োজন ২৮৯টি আসন। বুথ ফেরত সমীক্ষার প্রতিবেদন অনুযায়ী, তার চেয়ে অনেকটাই পিছনে থাকবে বামপন্থিরা। ফলে ত্রিশঙ্কু পার্লামেন্ট হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাখোঁর দল সেন্ট্রিস্ট বা মধ্যপন্থি হিসেবে পরিচিত। প্রথম রাউন্ডের ভোটের সমীক্ষা দেখে চটজলদি তারা বামপন্থিদের একটি অংশের সঙ্গে জোট গঠন করে। দ্বিতীয় রাউন্ডের পর দেখা যাচ্ছে, সেই জোট সব মিলিয়ে ১৬১ থেকে ১৬৯টি আসন পেতে পারে। অন্য়দিকে বামপন্থি দলগুলির জোট ন্যাশনাল পপুলার ফ্রন্ট দুশটি পর্যন্ত আসন পেতে পারে।
সকলেই মনে করেছিলেন, মারিন লে পেনের অতি দক্ষিণপন্থি এনআর পার্লামেন্টে সর্বোচ্চ আসন পাবে। যদিও তারাও একক সংখ্যাগরিষ্ঠতায় পৌঁছাতে পারবে না বলেই মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু দ্বিতীয় রাউন্ডের ভোটের পর দেখা যাচ্ছে তারা তৃতীয় স্থানে পৌঁছে গেছে। চতুর্থ স্থানে রিপাবলিকানরা, সব মিলিয়ে তারা পেতে পারে ৬৩টি আসন।
২০২৭ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় আছেন ম্যাখোঁ। কিন্তু আগামী আড়াই বছর তার জন্য় খুব সহজ হবে না। বামপন্থিদের সঙ্গে ম্যাখোঁর নীতির অনেক ফারাক। পার্লামেন্টে যদি বামপন্থি প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন, তাহলে পদে পদে বাধা পেতে হবে ম্যাখোঁকে। বস্তুত, গত কয়েকবছরে অনেকটাই জনপ্রিয়তা হারিয়েছেন ম্যাখোঁ। এবারের নির্বাচনে তার সরাসরি প্রভাব পড়েছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।