যুক্তরাজ্যে আগামী পাঁচ বছর কারা ক্ষমতায় থাকবে, সে সিদ্ধান্ত নিতে আজ বৃহস্পতিবার ভোট দেবে দেশটির নাগরিকরা। প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের দল কনজারভেটিভ পার্টির ১৪ বছরের শাসনামলের অবসান হওয়ার ইঙ্গিত মিলেছে বিভিন্ন জরিপে। জরিপকারী প্রতিষ্ঠান সার্ভেশন বলছে, কিয়ার স্টার্মারের লেবার পার্টি ৬৫০টির মধ্যে ৪৮৪টি আসনে জয় পেতে যাচ্ছে। যদিও ভোটের ফলাফল প্রকাশের আগে চূড়ান্তভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না।
স্থানীয় সময় আজ সকাল ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে। নির্বাচনে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি ও প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টি ছাড়াও লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি, গ্রিন পার্টি, রিফর্ম পার্টিসহ অর্ধশতাধিক দল অংশ নিচ্ছে।
সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার ছয় মাস আগে গত ২২ মে আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক।
বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাজ্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর থেকে দেশটির ভঙ্গুর অর্থনীতি, জীবনযাত্রার উচ্চ ব্যয়, অভিবাসনসহ বিভিন্ন ইস্যু এবারের নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারে।
জরিপে এগিয়ে থাকা লেবার পার্টির স্টার্মার প্রচারণায় বলে আসছেন, ক্ষমতায় গেলে অর্থনীতি পুনর্গঠন, স্বাস্থ্যসেবা গতিশীল করা, জীবনযাত্রার ব্যয় কমানো এবং অবৈধ অভিবাসীদের রুয়ান্ডায় না পাঠিয়ে নিজ নিজ দেশে পাঠানো হবে। কনজারভেটিভদের ১৪ বছরের বিশৃঙ্খল শাসনামলের অবসান ঘটাতে লেবার পার্টিকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
এদিকে নির্বাচনের আগের দিন গতকাল বুধবার কনভারভেটিভ পার্টির নেতা মেল স্ট্রাইড বলেন, জনমত জরিপ অনুযায়ী, লেবার পার্টির সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।
এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেন, ওই বক্তব্যের মাধ্যমে লেবার পার্টির সংখ্যাগরিষ্ঠতার পরিণতি সম্পর্কে জনগণকে সতর্ক করতে চেয়েছিলেন মেল স্ট্রাইড।
জয়ের বিষয়ে আশাবাদী সুনাক বলেন, তিনি প্রতিটি ভোটের জন্য কঠিন লড়াই করছেন। তিনি দাবি করেন, এক লাখ ৩০ হাজার মানুষ এই নির্বাচনে পার্থক্য গড়ে দিতে পারে, এমন বিশ্লেষণও দেখেছেন তিনি।
নির্বাচনের ফলাফলের সম্পূর্ণ দায়িত্ব নেওয়ার কথা জানিয়ে সুনাক বলেন, ‘অবশ্যই আমি দায়িত্ব নেব, কারণ আমি দলের নেতা।
এবারের নির্বাচনে বর্তমান এমপি রুশনারা আলী, রুপা হক, টিউলিপ রেজওয়ানা সিদ্দিক ও আফসানা বেগম লেবার পার্টি থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন। এ ছাড়া আরো ৩০ জন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রার্থী বিভিন্ন দল থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন।