ফ্রান্সে প্রথম পর্বের নির্বাচনে ৩১.৪ শতাংশ ভোট পেয়ে শক্তিশালী জায়গায় অতি দক্ষিণপন্থী দল আরএন। এই পরিস্থিতিতে আগামী রবিবার সেখানে দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত পর্বের ভোট হবে। এই ভোটই নিশ্চিত করবে পার্লামেন্টে কারা ক্ষমতায় আসবে। এই পরিস্থিতিতে অতি দক্ষিণপন্থীদের হারাতে জোটবদ্ধ হচ্ছে ফ্রান্সের বিরোধী শক্তি।
প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁর মধ্যপন্থী দল ও বামপন্থীরা একত্রভাবে ৩৩ শতাংশ ভোট পেয়েছে প্রথম পর্বে।
এখনো পর্যন্ত ২১০ জন ম্যাখোঁপন্থী ও বামপন্থী প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। তারা ভোট সংঘবদ্ধ করার জন্যই এই কৌশল নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। ফরাসি পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে আসন সংখ্যা ৫৭৭।
এর আগে আরএনের ঝুলিতে ছিল মাত্র ১৪ শতাংশ ভোট। রাতারাতি সেই সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি বাড়িয়ে ফেলেছে তারা।
বুথ ফেরত সমীক্ষায় দক্ষিণপন্থীরা একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলেও তার খুব কাছাকাছি থাকছে। এই পরিস্থিতিতে তাদের নেতা লা পেন জনগণের কাছে আরো বেশি সমর্থনের আরজি জানিয়েছেন। যদি কোনোভাবে দক্ষিণপন্থীরা ক্ষমতায় চলে আসেন, তাহলে এক আশ্চর্য পরিস্থিতি তৈরি হবে ফ্রান্সে। মধ্যপন্থী প্রেসিডেন্ট ম্যাখোঁর সঙ্গে সমঝোতা করে সরকার চালাতে হবে তাদের। কারণ, ম্যাখোঁর সময় শেষ হবে ২০২৭ সালে।
এদিকে বুথ ফেরত সমীক্ষার ফালফল সামনে আসার পর ফ্রান্সজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। রাস্তায় নেমে দক্ষিণপন্থীদের সমালোচনায় মুখর হয়েছেন প্রতিবাদীরা। তাদের বক্তব্য, দক্ষিণপন্থীরা জিতে গেলে ফ্রান্সের মূল স্পিরিটটি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।