আর্ন্তজাতিক ডেস্ক: ফের বন্দুকবাজের হানা যুক্তরাষ্ট্রে। ওয়াশিংটনে বন্দুকবাজের তাণ্ডবে মৃত্যু হল একজনের। আহত অন্তত ৫। কী কারণে কারা গুলি চালাল, তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ওয়াশিংটনের রেন্টন এলাকায় শনিবার রাত ১টা নাগাদ গুলি চলার খবর মেলে। পুলিশ সূত্রে খবর, রেন্টন এলাকায় প্রচুর মানুষের জমায়েত হয়। সেখানে কোনও কারণে বচসা শুরু হয়। সেই বচসার জেরেই গুলি চলে বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান।

এ প্রসঙ্গে রেন্টন পুলিশের মুখপাত্র সান্দ্রা হাভলিক জানিয়েছেন, রাত একটা নাগাদ হামলার ঘটনাটি ঘটেছে। খবর পেয়ে ছুটে আসে পুলিশ। দেখা যায়, মাটির উপর রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন অনেকে। তাদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর জখম অনেকে। তবে হামলাকারী এখনও অধরা।

এনিয়ে সম্প্রতি বেশ কয়েকবার গুলিচালনা ও প্রাণহানির ঘটনার সাক্ষী রইল যুক্তরাষ্ট্র। কখনও চার্চে ঢুকে, কখনও স্কুলে, কখনও আবার শপিং মল অথবা ভিড়ের মাঝে বন্দুক হাতে দাপট চলছেই। সেখানকার আগ্নেয়াস্ত্র আইন সংশোধন নিয়ে যতই আলোচনা হোক, সুফল মিলছে না কিছুতেই। গত কয়েকমাস ধরেই একের পর এক বন্দুক হামলা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। পুলিশ ও প্রশাসনের শত চেষ্টা সত্ত্বেও কিছুতেই থামছে না এমন ঘটনা।

১৮ জুন ইন্ডিয়ানা প্রদেশের একটি শপিং মলে ক্রেতাদের উপর এলোপাথাড়ি গুলিবৃষ্টি করে এক ব্যক্তি। ওই ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে চারজন। আহত দুই। পালটা হামলায় নিহত হয়েছে বন্দুকবাজও।

উল্লেখ্য, এর আগে ৪ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে হামলা চালায় ২২ বছরের এক তরুণ। ওই ঘটনায় প্রাণ হারান ছয়জন নিরীহ মানুষ। আহত হন কমপক্ষে ২৪ জন। অবশ্য তার আগে জুন মাসে বহুচর্চিত আগ্নেয়াস্ত্র নিয়য়ন্ত্রণ বিলে সই করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এর ফলে আগ্নেয়াস্ত্র কেনার আগে ক্রেতার রেকর্ড আরও বেশি করে খতিয়ে দেখা হবে। সেই সঙ্গে ক্রেতাকে বেশকিছু শর্তও পূরণ করতে হবে। কিন্তু নতুন আইনেও পরিস্থিতি বিশেষ বদলায়নি তা এদিনের ঘটনায় স্পষ্ট।