মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মুসলমানদের উদ্দেশে এক বার্তায় গাজার ফিলিস্তিনিদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন। তিনি এক্স-এর একটি পোস্টে বলেছেন, ‘আমার চিন্তাভাবনা গাজা এবং সুদানের মতো জায়গাসহ সারা বিশ্বে যারা সংঘাত ও ক্ষুধায় ভুগছে এবং বাস্তুচ্যুত হয়েছে তাদের সঙ্গে রয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘এখনই সময় শান্তি প্রতিষ্ঠার কাজে পুনরায় অঙ্গীকারবদ্ধ হওয়া এবং সবার মর্যাদার জন্য দাঁড়ানো।’
মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশের সঙ্গে ফিলিস্তিনেও আজ বুধবার (১০ এপ্রিল) উদযাপন করা হচ্ছে মুসলিমদের অন্যতম বৃহৎ উৎসব ঈদুল ফিতর।
এদিকে অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদে ইসরায়েলি নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও হাজার হাজার ফিলিস্তিনি ফজরের নামাজের জন্য জড়ো হয়েছিল। অন্যদিকে নুসিরাত ক্যাম্পে ইসরায়েলি হামলায় নারী ও শিশুসহ ১৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। গাজার সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, মধ্য গাজার নুসিরাত ক্যাম্পে ইসরায়েলি বিমান হামলায় চার শিশুসহ অন্তত ১৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি গাজা এবং অন্যত্র মুসলমানদের ওপর সহিংসতার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা ‘ইউএনআরডাব্লিউএ’ সোশ্যাল মিডিয়ায় ঈদুল ফিতর-এর শুভেচ্ছা জানিয়েছে। সংস্থাটি আরো বলেছে, ‘গাজা, পশ্চিম তীর এবং এই অঞ্চলজুড়ে যারা সংঘাত, বাস্তুচ্যুতি এবং ভয়ের সম্মুখীন, তাদের জন্য আমাদের হৃদয় দুঃখভারাক্রান্ত। তাদের ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানাই।’
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) সভাপতি ডেনিস ফ্রান্সিস ঈদ বার্তায় গাজাবাসীদের জন্য সমবেদনা জানিয়েছে এবং তাদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
ফিলিস্তিনের অধিকৃত জেরুজালেমের মসজিদুল আকসায় পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর কড়া বিধি-নিষেধের মধ্যে এ জামাতে অংশ নেন ৬০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি মুসল্লি। আজ বুধবার (১০ এপ্রিল) আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে তাঁরা নামাজ আদায় করেন। জেরুজালেমের ইসলামিক ওয়াকফ বিভাগ জানায়, ঈদের জামাতে অংশ নিতে ভোরবেলা থেকে মুসল্লিদের আগমন শুরু হয়। অবশ্য ইসরায়েলি পুলিশ অনেক মুসল্লিকে মসজিদে প্রবেশ করতে দেয়নি। তারা জেরুজালেমের বিভিন্ন সড়কে নামাজ আদায় করেন।