ফিলিস্তিনের যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ওয়ার্ল্ড সেন্টার কিচেনের (ডাব্লিউসিকে) সাতজন সহায়তাকর্মী নিহত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে তেল আবিবের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করতে ব্রিটিশ সরকারের ওপর ক্রমাগত চাপ বাড়ছে। ইসরায়েলে অস্ত্র রপ্তানি বন্ধ করতে এরই মধ্যে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাককে ছয় শতাধিক আইনজীবীর সই করা চিঠি দেওয়া হয়েছে। তাঁদের এই উদ্যোগে সমর্থন দিয়েছেন দেশটির সাবেক তিন বিচারক।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলে অস্ত্র পাঠিয়ে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে যুক্তরাজ্য।
বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাজ্য অস্ত্র বিক্রি নিষিদ্ধ করলে ইসরায়েলের ওপর কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি হবে। কারণ, গাজায় চালানো ধ্বংসযজ্ঞের কারণে আন্তর্জাতিক তদন্তের কবলে পড়েছে ইসরায়েল।
কনজারভেটিভ দলের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্যার অ্যান ডানকান বলেন, ইসরায়েল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘন করে আসছে। লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেতা স্যার এড ড্যাভি বলেন, পার্লামেন্টে অধিবেশন ডাকা উচিত, যাতে এমপিরা ভোট দিয়ে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করাতে পারেন। তবে সরকারি সূত্র বলছে, ইসরায়েলের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হচ্ছে না।
এদিকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে ত্রাণ নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। নেতানিয়াহুকে সুনাক বলেন, ‘যদি গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবর্তনের কোনো পরিবর্তন না হয়, তাহলে ইসরায়েল আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে বলে আমরা ঘোষণা দেব।