আর্ন্তজাতিক ডেস্ক: ইতালির সংসদের উচ্চ কক্ষ সিনেটে বুধবার (২০ জুলাই) চলমান রাজনৈতিক সংকটের বিষয়ে ভাষণ দিবেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘি। প্রধানমন্ত্রী দ্রাঘির ভাষণের মধ্য দিয়েই নির্ধারিত হবে দেশটির চলমান সরকারের ভবিষ্যৎ।
বুধবার সকাল সাড় নয়টায় সিনেটের উচ্চ কক্ষে আইনপ্রণেতাদের উপস্থিত হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। অধিবশেনে প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘি অর্থনৈতিক বিপর্যয়ে সৃষ্ট দেশটির বিদ্যমান সংকট ও আগাম নির্বাচনের বিষয়ে ভাষণ দিবেন। খবর রয়টার্স
সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ আগাম নির্বাচনের বিষয়ে দেশটির আইনপ্রণেতাদের প্রদত্ত মতামতের ফল প্রকাশ করা হবে। বৃহস্পতিবারও (২১ জুলাই) সরকারের ভবিষ্যৎ নিয়ে সিনেটের নিম্নকক্ষে একটি বিতর্ক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
গত ১৪ জুলাই ক্ষমতাসীন জোটে আস্থার ঘাটতির খবর জানিয়ে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছিলেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘি। তবে তার পদত্যাগ প্রত্যাখ্যান করে সংসদে দৃঢ় সমর্থন অর্জনের প্রচেষ্টায় একটি ভাষণ দেয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট সার্জিও মাতারেল্লা।
২০২১ সালে একাধিক দলের সঙ্গে জোট গঠন করে ইতালির প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন মারিও দ্রাঘি। তবে জোটে বর্তমানে বিভক্তি স্পষ্ট।
সম্প্রতি সিনেটে দ্রাঘি সরকারের ওপর আয়োজিত আস্থা ভোট থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করেছিল জোট শরিক ফাইভ স্টার মুভমেন্ট। অপরদিকে জোটের অন্যান্য শরিক দলগুলো- ডানপন্থী লীগ দল এবং এর ফোরজা ইতালিয়া জানিয়ে দেয় ফাইভ স্টার মুভমেন্টের সঙ্গে তারা আর জোট থাকতে রাজি নয়।
এরপর প্রেসিডেন্ট মাতারেল্লার পরামর্শ অনুযায়ী সংসদের ভাষণ প্রদানের বিষয়ে রাজি হলেও দ্রাঘি বিশ্বাস করেন যে তার সরকারকে পুনরুজ্জীবিত করা যাবে না। ফলে প্রধানমন্ত্রী দ্রাঘি আরও একবার মাতারেল্লার কাছে পদত্যাগপত্র হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানানো হয়ে রয়টার্সের খবরে।
ফলে নিশ্চিতভাবেই সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে বা অক্টোবরের শুরুতে দেশটিতে আগাম নির্বাচনের পথ খুলে যাবে। যদিও দ্রাঘির প্রস্থান দেশটিতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকেই।