আর্ন্তজাতিক ডেস্ক: ইউরোপের বেশিরভাগ অঞ্চলজুড়ে চরম তাপপ্রবাহের মধ্যে ফ্রান্সের পশ্চিমাঞ্চল ‘বিপর্যয়কর তাপমাত্রার’ মুখে আছে বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা। দেশটির দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলের ১৫ অঞ্চলে তাপমাত্রা রেকর্ড পর্যায়ে পৌঁছে যেতে পারে। ওইসব অঞ্চলে দমকলকর্র্মীরা দাবানলের আগুন নেভাতে লড়ে যাচ্ছে। এলাকা ছেড়ে সরে যেতে বাধ্য হচ্ছে হাজারো মানুষ।
স্পেন, পর্তুগাল, এবং গ্রিসের দাবনলে বাড়িঘর ছাড়া হয়েছে আরো হাজারো মানুষ। যুক্তরাজ্যেরও কিছু এলাকায় রেকর্ড তাপমাত্রার পূর্বাভাস আছে। দেশটিতে এবারই প্রথম তাপমাত্রার সর্বোচ্চ সতর্কতা রেড এলার্ট জারি হয়েছে।
ফ্রান্সে সাম্প্রতিক দিনগুলোতে দাবানলের কারণে ঘরবাড়ি ছেড়ে চলে গেছে ২৪ হাজারের বেশি মানুষ। কয়েক জায়গায় গৃহহীন মানুষের জন্য জরুরি আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। জনপ্রিয় একটি পর্যটন এলাকাও দাবনলে পুড়ছে। গত মঙ্গলবার থেকে সেখানে ১৪০০০ একর জমি ধ্বংস হয়ে গেছে। অগ্নিনির্বাপণকর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খাচ্ছে।
গরম আবাহাওয়া এবং বাতাসের কারণে সেই আগুন আরও দূরে ছড়িয়ে পড়ছে বলে বিবিসি-কে জানিয়েছেন অঞ্চলটির প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, “তাদেরকে (অগ্নিনির্বাপণকর্মী) ক্রমেই বাড়তে থাকা আগুনের লেলিহান শিখা নেভাতে লড়ে যেতে হচ্ছে।” চরম তাপপ্রবাহের কারণে আবহাওয়া দপ্তর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কয়েকটি এলাকায় ‘বিপর্যয়কর তাপমাত্রা’ দেখা দেয়ার সতর্কবার্তা দিয়েছে। ফ্রান্সের অন্যান্য কয়েকটি অঞ্চলেও তাপমাত্রা প্রভাব দেখা যাচ্ছে।
উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় একটি এলাকায় তাপমাত্রা জুলাই মাসের সাধারন গড় তাপমাত্রার চেয়ে প্রায় দ্বিগুন হয়ে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে দাঁড়িয়েছে। স্পেন এবং পর্তুগালে সম্প্রতি কয়েকদিনে বেশি তাপমাত্রার কারণে ১ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। পর্তুগালে বৃহস্পতিবারে তাপমাত্রা পৌঁছেছিল ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। দেশটিতে জুলাই মাসে এটি রেকর্ড তাপমাত্রা।