একজন রুশ মহাকাশচারী ও তিন মার্কিন নভোচারী আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের (আইএসএস) উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। মিশনে অংশ নেওয়া দলটির পৃথিবীর কক্ষপথে ছয় মাস অবস্থান করার কথা রয়েছে। স্থানীয় সময় রবিবার রাতে ফ্লোরিডা থেকে তাঁদের নিয়ে স্পেসএক্সের একটি রকেট যাত্রা শুরু করেছে।
দুই স্তরের ফ্যালকন ৯ রকেটটি একটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিচালিত এনডেভার নামে পরিচিত ক্রু ড্রাগন ক্যাপসুলের সঙ্গে সংযুক্ত রয়েছে, যা নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টার কেপ ক্যানাভেরাল থেকে রবিবার রাতে উৎক্ষেপণ করা হয়।
এর আগে স্থানীয় সময় শনিবার প্রচণ্ড বাতাসের জন্য মিশনটি চালু করার প্রথম প্রচেষ্টা স্থগিত করা হয়।
২০২২ সালে ইউক্রেনে মস্কোর আক্রমণের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও দুই দেশের মধ্যকার মহাকাশ গবেষণায় সহযোগিতার এ ঘটনা একটি বিরল উদাহরণ সৃষ্টি করেছে।
মার্কিন-রুশ ক্রু
ইলন মাস্কের সংস্থা স্পেসএক্সের তৈরি করা এন্ডেভার ক্যাপসুলে করে চারজন ক্রু সদস্য যাত্রা শুরু করেন, যা এর আগে চারবার সফলভাবে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল।
অংশ নেওয়া চারজন ক্রুর মধ্যে তিনজনের জন্য এটি প্রথম মহাকাশ অভিযান। মিশন কমান্ডার ৪২ বছর বয়সী ম্যাথিউ ডমিনিক নৌবাহিনীর সাবেক পাইলট। ৫৩ বছর বয়সী জেনেট এপস এর আগে ফোর্ড মোটর ও সিআইএতে কাজ করেছিলেন। রাশিয়ান আলেকজান্ডার গ্রেবেনকিন (৪১) একজন সাবেক সামরিক বিমান প্রকৌশলী।
মিশনের অংশ নেওয়া ক্রুদের মধ্যে সবচেয়ে অভিজ্ঞ হলেন ৬৪ বছর বয়সী মাইকেল ব্যারেট। যিনি এর আগে দুবার আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পরিদর্শন করেছেন এবং দুটি স্পেসওয়াকে অংশ নিয়েছেন।
মঙ্গলবার তাঁরা কক্ষপথে পৌঁছবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তাঁরা যুক্তরাষ্ট্র, ডেনমার্ক, জাপান ও রাশিয়া থেকে সাতজনের একটি দলকে প্রতিস্থাপন করবেন, যাঁদের মধ্যে চারজন কয়েক দিনের ওভারল্যাপের পর পৃথিবীতে ফিরে আসবেন।
ক্রুরা অবক্ষয়জনিত রোগগুলো প্রতিরোধের জন্য স্টেম সেল ব্যবহার করে অর্গানয়েড তৈরি করার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন।