ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের মধ্যকার যুদ্ধ ৬৫তম দিনের মতো রবিবারও চলছে।
৭ অক্টোবর ইসরায়েলে একটি নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এরপর হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েল যুদ্ধ ঘোষণা করে। ইসরায়েলি পরিসংখ্যান অনুসারে, সশস্ত্র গোষ্ঠীটির হামলায় এক হাজার ২০০ জন নিহত এবং ২৪০ জন জিম্মি হয়।
যুদ্ধকে ঘিরে এদিন যা যা ঘটেছে :
- ইসরায়েল বেসামরিক লোকদেরকে খান ইউনিসের কেন্দ্রীয় এলাকা ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এটি দক্ষিণ গাজার প্রধান শহর এবং যুদ্ধ শুরু হওয়ার সময় মানুষকে উত্তর দিক থেকে সেখানে যেতে বলা হয়েছিল। একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, তিনি সেখানে ‘কঠিন লড়াইয়ের’ সময় ক্রসফায়ারে বেসামরিক নাগরিকদের আটকাতে চান না।
- বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডাব্লিউএইচও) প্রধান বলেছেন, গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে এবং এই অঞ্চলে ইসরায়েলের পদক্ষেপ ‘রোগ ছড়ানোর জন্য আদর্শ পরিস্থিতি’ তৈরি করছে।
- ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শতায়েহ গাজায় বোমা হামলার জন্য ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে অন্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। হামাস শাসিত গাজা উপত্যকায় শতায়েহর কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই।
- ইতিমধ্যে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হামাসের প্রতি দ্বিমুখী মনোভাবের জন্য পশ্চিমা নেতাদের অভিযুক্ত করেছেন।
- জাতিসংঘের প্রধান এবং কাতার এদিন একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে উভয় পক্ষকে চাপ দেওয়ার প্রচেষ্টা জোরদারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কাতার শুরু থেকেই এ যুদ্ধে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করছে।
- ইসরায়েলি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত ফুটেজ নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছে, যেখানে উত্তর গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের কাছে মানুষকে আত্মসমর্পণ করতে দেখা যাচ্ছে।
- ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থার প্রধানের একটি অভিযোগ ইসরায়েল অস্বীকার করেছে। দেশটির বিরুদ্ধে গাজার বিপুলসংখ্যক বাসিন্দাকে জোরপূর্বক মিসরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করার অভিযোগ করা হয়েছিল।
- ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু রুশ নেতা ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। পুতিনকে নেতানিয়াহু বলেছেন, তিনি গাজার বিষয়ে রাশিয়ার অবস্থান নিয়ে ‘সন্তুষ্ট নন’। এর আগে শুক্রবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানোর প্রস্তাবকে সমর্থন করেছে রাশিয়া।
সূত্র : বিবিসি