হামাস ও ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা-পাল্টা হামলা চলছেই। হামলায় এখন পর্যন্ত উভয়পক্ষের ২ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন। নিহতদের মধ্যে ১২০০ ইসরায়েলি এবং ৯০০ জন ফিলিস্তিনি রয়েছে। আহত হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ।
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের আকস্মিক হামলায় অনেকটা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ইসরায়েল। গত ৭৫ বছরে কখনো এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হয়নি ইহুদিবাদী ইসরায়েলকে। কোনো পূর্ব সতর্কতা ও হুমকি-ধামকি ছাড়াই হঠাৎ করে শনিবার সীমান্ত প্রাচীর ভেঙে ইসরায়েলের ভেতর ঢুকে পড়েন হামাসের ১ হাজার যোদ্ধা।
এর আগে, গতকাল গাজা উপত্যকার ২০০টিরও বেশি স্থানে রাতভর হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। যার মধ্যে গাজা শহরের রিমালপাড়া এবং খান ইউনিস শহরও রয়েছে। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছে, যেসব জায়গায় হামলা করা হয়েছে তার মধ্যে একটি মসজিদ ও অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে। মসজিদের ভেতরে অস্ত্র রাখার জায়গা ছিল এবং কথিত এক হামাস কমান্ডারের বাড়িতেও হামলা চালায় তারা।
হামাসের কাছে প্রচুর ইসরায়েলি নাগরিক জিম্মি আছে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী গাজা উপত্যকাকে সম্পূর্ণ অবরোধ করার নির্দেশ দিয়েছেন। খাদ্য, জ্বালানি, বিদ্যুৎ এবং পানি সরবরাহ বন্ধ করে দিতে বলা হয়। গাজায় প্রায় ২৩ লাখ মানুষ বসবাস করে, যাদের ৮০ শতাংশ সাহায্যের ওপর নির্ভর করে চলে। শনিবার সকালে হামলা শুরুর পর থেকে ইসরায়েল গাজায় খাদ্য, ওষুধসহ সব ধরনের সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। অনেকেই বর্তমানে বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সেবা ছাড়াই আছে। ইতিমধ্যে হয়তো প্রয়োজনীয় খাদ্য ও পানি সরবরাহও বন্ধ হয়ে গেছে। কর্তৃপক্ষ সতর্ক করেছে, গাজা উপত্যকার জ্বালানি শেষ হয়ে যাবে।