আর্ন্তজাতিক ডেস্ক: বন্দুকহামলা রোজকার ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। সেদেশের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে হামলায় মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। শিকাগো শহরের ওই ঘটনায় আহত কমপক্ষে ৩০ জন। ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে হামলাকারী তৃতীয় রবার্ট ক্রিমোকে। বন্দুকবাজের অন্য হামলাগুলির মতোই এক্ষেত্রেও প্রশ্ন উঠছে তার মানসিকতা নিয়ে। নিরীহ মানুষের উপরে কেন গুলি চালাতে গেল সে? কে এই রবার্ট ক্রিমো? 

রবার্ট ক্রিমো ২২ বছরের তরতাজা যুবক। ৫ ফুট ১১ ইঞ্চি উচ্চতা, ৫৪ কেজি ওজন। গোটা শরীরে ট্যাটু। বাড়ি শিকাগোর হাইল্যান্ড পার্ক এলাকায়। শহরতলির এই হাইল্যান্ড পার্ক চত্বরেই স্বাধীনতা দিবসের কুচকাওয়াজে গুলি চালায় সে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শিকাগোর একাধিক জায়গায় তাণ্ডব চালায় রবার্ট। কাগোর ইলিনয়ের সাউথ ওয়েন্টওয়ার্থ অ্যাভিনিউতে ২৪ বছর বয়সি এক তরুণীর মৃত্যু হয়। গ্র্যান্ড ক্রসিংয়ের কাছেও ৩ জনের মৃত্যু হয়। কেন এই নৃশংসতা? যাকে আপনি চেনেন না, জানেন না, শত্রুতার প্রশ্ন নেই, তাঁকে খুন করার পিছনে লুকিয়ে কোন উদ্দেশ্য! 

শিকাগো পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে, হত্যাকারী যুবকের যে পরিচয় সামনে আসছে, তা থেকে ক্রিমোর মানসিকতা কিছুটা আন্দাজ করা হয়তো সম্ভব। তার পরিচয়ও কিছুটা জানা যায়। যেমন, রবার্ট পেশায় ইউটিউবার। বিভিন্ন নামে একাধিক ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে তার। যদিও ভয়ংকর ঘটনার পর চ্যানেল বন্ধ করেছে পুলিশ। তথাপি তার বেশ কিছু ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে ঘটনার পরেই। তা থেকে জানা যাচ্ছে, ‘অ্যাওয়েক দ্য র‌্যাপার’ নামে ব়্যাপ গানের ভিডিও আপলোড করত রবার্ট ক্রিমো। বিমূর্ত সেই গানের ভাষা। শেষ যে দু’টি ভিডিও আপলোড করে, সেখানে আগ্নেয়াস্ত্র দেখা গিয়েছে। লাঠি হাতে ধরা এক ব্যক্তিকে পুলিশ হত্যা করেছে, এমন হিংসাত্মক দৃশ্যও রয়েছে।

ব়্যাপ গানগুলির ভাষা থেকে রবার্টের অস্থির মনের হদিশ মেলে। গানে সে লিখেছে-একজন স্লিপওয়াকারের মতো নিজেকে আটকাতে পারি না। উন্মাদ ভাবনা আসে আমার মাথায়। গানের কথায় আরও বলা হয়েছে, অতীত বা ভবিষ্যতে বিশ্বাস নেই রবার্টের। সবটাই বর্তমান। অন্য একটি গানের ভাষা, কোনওকিছুই আমাকে আটকাতে পারবে না। এমনকী আমাকে রোখার সাধ্য আমারও নেই। এই সমস্ত গান তৃতীয় রবার্ট  ক্রিমোর মানসিক অবস্থাকে চিহ্নিত করে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সে অবসাদগ্রস্ত কিনা তা খতিয়ে দেখবেন চিকিৎসকরা।