তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি আর ওয়ানডে সিরিজ খেলতে জিম্বাবুয়ে সফরে গেছে বাংলাদেশ দল। ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে কুড়ি ওভারের ফরম্যাট। গতকাল শুক্রবার (৫ আগস্ট) প্রথম একদিনের ম্যাচ খেলতে নেমে চোট পেয়েছেন টাইগারদের তিন ক্রিকেটার। ওপেনার লিটন কুমার দাস পেশির টানে সফর থেকে ছিটকে গেছে। মুশফিকুর রহিমের হাতের চোট ততটা গুরুতর নয়। তবে ভাবনা বাঁহাতি স্পিনার শরিফুল ইসলামকে নিয়ে।
এজন্য ঝুঁকি না নিয়ে বাকি দুই ম্যাচের জন্য দেশ থেকে ওপেনার নাঈম শেখ আর ডানহাতি পেসার এবাদত হোসেনকে উড়িয়ে জিম্বাবুয়ে নিচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। আজ শনিবার সন্ধ্যা ৭.৪৫ মিনিটে দেশ ছাড়বেন এই দুই ক্রিকেটার। যাওয়ার আগে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন এবাদত। যেখানে জানিয়েছেন, হঠাৎ ডাকে অবাক হয়েছেন।
এবাদত বলছিলেন, ‘একটু অবাক করার মতো। ইনশাআল্লাহ্ দেশের জন্য ভালো কিছু করার চেষ্টা করব। সুযোগ পেলে কাজে লাগানোর চেষ্টা করব। আমি অনুশীলনের মধ্যে আছি। অনুশীলনের মধ্যে না থাকলে মানসিকভাবে পিছিয়ে থাকতাম। তাই আত্মবিশ্বাস ভালো আছে।’
টেস্ট স্পেশালিস্ট বনে যাওয়া এবাদত নিজের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমি বাংলাদেশ টাইগার্সের হয়ে এইচপির বিপক্ষে খেলার জন্য খুলনায় ছিলাম। ওখানে সাদা বলের জন্য গিয়েছিলাম। তাই সাদা বলের অনুশীলনটাই করে এসেছি। গতকাল রাতে কল আসে- জাতীয় দলে যোগ দিতে হবে। শুনে খুব খুশি হয়েছি। প্রথমে যাওয়ার কথা ছিল, যাওয়া হয়নি, মাঝখানে যাচ্ছি।’
জিম্বাবুয়ে সিরিজের জন্য ডাক পাওয়ার আগে ওয়ানডে দলের অধিনায়ক তামিম ইকবালের সঙ্গে কথা হয়েছে বলে জানান এবাদত।
ডানহাতি পেসার বলছিলেন, ‘গত ২ বছর ধরে পেস বোলিং ইউনিট উন্নতির চেষ্টা করছে। তাসকিন, মুস্তাফিজ, শরিফুল, আমি, খালেদ- সবাই ভালো করছে। আমরা হাল ছাড়ব না। উন্নতির গ্রাফ আরো ওপরের দিকে নিয়ে যেতে চাই। এখন পর্যন্ত কারো সাথে কথা হয়নি। তামিম ভাইয়ের সাথে সিরিজের আগে কথা হয়েছে। উনি অনেক প্রেরণা দিয়েছেন।’