ক্রীড়া প্রতিবেদক : ঢাকা মেট্রো না রংপুর বিভাগ? কোন দল হবে জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) টি-টোয়েন্টির বহুপ্রতীক্ষিত এবারের আসরের চ্যাম্পিয়ন? ফাইনালের আগে দুই দলের মুখোমুখি অবস্থান অবশ্য ১-১। রাউন্ড রবিন লিগে ঢাকা মেট্রোর কাছে হারের শোধ রংপুর নেয় কোয়ালিফায়ার-১-এ। লো স্কোরিং ম্যাচে লিগ পর্বে অপরাজিত দলটিকে তারা হারায় ৪ উইকেটে।

শিরোপাযুদ্ধ ছাড়িয়ে যাওয়ার মঞ্চওপরে কোয়ালিফায়ার-২-এ আরেকটি লো স্কোরিং ম্যাচে খুলনাকে হারিয়ে ফাইনালে রংপুরের সঙ্গী হয় ঢাকা মেট্রো।

আজকের ফাইনাল তাই শুধু শিরোপা জয়েরই নয়, দুই দলের এগিয়ে যাওয়ার লড়াইও। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে দুই দলের নিজেদের ছাড়িয়ে যাওয়ার এই লড়াই।

 

পারফরম্যান্স বিবেচনায় টুর্নামেন্টের সেরা দুটি দলই ফাইনালে উঠেছে। তবে ব্যক্তিগত নৈপুণ্যের দিক থেকে ঢাকা মেট্রোকে একটু এগিয়ে রাখতেই হয়।

টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক দলটির অধিনায়ক নাঈম শেখ। এই বাঁহাতি ওপেনার ১৩৬.৮০ স্ট্রাইক রেটে ৩১৬ রান করেছেন। এ ছাড়া সেরা ছয় ব্যাটারের মধ্যে আছেন দলটির টপ অর্ডার ব্যাটার ইমরানুজ্জামান। তিনি ২২৪ রান করেছেন ১৩৫.৭৬ স্ট্রাইক রেটে।
ওদিকে রংপুরের অধিনায়ক আকবর আলি আছেন তালিকার আট নম্বরে। ১৫০.৭২ স্ট্রাইক রেটে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ২০৮ রান। সফলতম বোলারদের তালিকায়ও ঢাকা মেট্রোর জয়জয়কার। তিনজন আছেন এই তালিকায়। ১৬ উইকেট নিয়ে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি অবশ্য রংপুরের আলাউদ্দিন বাবু।

 

শিরোপাযুদ্ধ ছাড়িয়ে যাওয়ার মঞ্চওব্যক্তিগত নৈপুণ্যের ঝনঝনানিতে কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও রংপুরের শক্তির জায়গা দলীয় পারফরম্যান্স। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দায়িত্ব নিচ্ছেন তরুণ অলরাউন্ডার চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান, অভিজ্ঞ তানভীর হায়দার কিংবা আরিফুল হকরা। ফাইনালের আগে অধিনায়ক আকবরের মুখে নিজের দলের শক্তির জায়গা ফুটে উঠেছে, ‘ফাইনালকে স্বাভাবিক হিসেবে চিন্তা করছি। আমার মনে হয়, আমাদের দল অনেক ভালো করছে। সঠিক সময়ে যে পারফরম্যান্স করা দরকার তা সবাই করছে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আমার কাছে মনে হয় না যে বড় দল বা ছোট দল বলে কোনো কিছু আছে। কারণ টি-টোয়েন্টি খুব অল্প সময়ের খেলা, যে দল ছন্দ ধরে রাখতে পারবে তারাই ভালো করবে।’ আকবরের মতো ঢাকা মেট্রোর অধিনায়ক নাঈমের চাওয়াও দলীয় নৈপুণ্য, ‘আমার দলে ৬-৭ জন ম্যান অব দ্য ম্যাচ হওয়া ক্রিকেটার আছে। একেকজন একেক দিন ভালো করেছে। টি-টোয়েন্টিতে ছোট বা বড় দল নেই। মাঠে যারা ভালো করবে, তারাই ফল পাবে। আমরা চেষ্টা করব মাঠে সেরাটা দেওয়ার।’ টুর্নামেন্টজুড়ে দলের সাফল্যের রহস্যও উঠে এসেছে নাঈমের কণ্ঠে, ‘মাঠে চাপ নিয়ে খেলার চিন্তা করিনি। টুর্নামেন্টের প্রথমে আমি দলকে বলেছি যে আমরা ম্যাচ ধরে ধরে এগোব। লম্বা কিছু চিন্তা করব না। শুধু একটা একটা করে ম্যাচ শেষ করব। ভালো একটি দল হওয়ায় আমাদের কাজটা সহজ হয়েছে।’

ম্যাচ-পূর্ব কথাবার্তায় সমানে সমান হলেও শিরোপার লড়াইয়ে জিতবে একটি দলই। সেটি ঢাকা মেট্রো নাকি রংপুর?