ফিফা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করতে যাচ্ছে ২০৩০ বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ। আগামী ১১ ডিসেম্বর, ফিফার বর্ধিত সভায় স্পেন, পর্তুগাল এবং মরক্কো এই বিশ্বকাপ আয়োজক হিসেবে নাম ঘোষণা করবে। বিশ্বকাপের শতবর্ষ উপলক্ষে বিশেষ এই আসরের তিনটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে আর্জেন্টিনা, উরুগুয়ে এবং প্যারাগুয়ে-তে।
এটি হবে ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং স্মরণীয় এক বিশ্বকাপ, যেহেতু প্রথমবারের মতো এটি তিন মহাদেশে— ইউরোপ, আফ্রিকা এবং দক্ষিণ আমেরিকা— আয়োজন করা হবে।
প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের আয়োজক হচ্ছে পর্তুগাল। বিশ্বকাপ আয়োজনের সুযোগকে ঐতিহাসিক মনে করে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর দেশ, ‘আমাদের সবার লক্ষ্য এক। তিন দেশ বা দুই মহাদেশ এখানে কোন ফ্যাক্টর নয়।
১৯৮২ সালে স্পেন শেষবার বিশ্বকাপ আয়োজন করেছিল, এবার আবারও বিশ্বকাপ আয়োজনের সুযোগ পেয়েছে। তারা জানিয়েছে, ‘৪২ বছর পর যখন আবারও বিশ্বকাপ আয়োজনের সুযোগ পেয়েছি, তখন আমরা এটি স্মরণীয় করতে চাই।
সহআয়োজক আফ্রিকার দেশ মরক্কো চায় ইতিহাসের সেরা বিশ্বকাপ উপহার দিতে। তারা জানায়, ‘আমাদের লক্ষ্য হলো ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে সেরা বিশ্বকাপ আয়োজন করা।’
বিশ্বকাপের শতবর্ষে দক্ষিণ আমেরিকাও অংশগ্রহণ করবে। কনমেবল (দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবল সংস্থা) ধন্যবাদ জানায় ফিফাকে, ‘এটি দক্ষিণ আমেরিকার জন্য একটি বিশেষ মুহূর্ত, যেখানে একটি বিশাল উৎসব হবে।’
বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা জানায়, ‘এই বিশ্বকাপ আমাদের দেশপ্রেমের প্রতীক, এটি শুধুমাত্র একটি টুর্নামেন্ট নয়, আমাদের জন্য এর চেয়েও বেশি কিছু।
এছাড়া, ফিফা ২০৩৪ বিশ্বকাপের আয়োজক দেশও ঘোষণা করবে। সৌদি আরব এককভাবে এই আসরের আয়োজক হবে, কারণ ওশেনিয়া অঞ্চল থেকে কোন আবেদন না করায় সৌদি আরবের আয়োজক হওয়া নিশ্চিত।