কানপুর টেস্টে যেন জয় পেতে মরিয়া ভারত। তা না হলে বেরসিক বৃষ্টির পেটে আড়াই দিন যাওয়ার পরেও এমন ব্যাটিং করত না তারা। দুই সেশনেরও কম ব্যাটিং করে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছে ভারত।

২৮৫ রানে ইনিংস ঘোষণার সময় অবশ্য নিজেদের কাজটা দারুণভাবে সেরে রেখেছে ভারত।

বাংলাদেশের বিপক্ষে ৫২ রানের লিড নিয়ে। বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে অলআউট হয় ২৩৩ রানে। এর মধ্যে ১০৭ রান অপরাজিত সেঞ্চুরি হাঁকানো মমিনুল হকের।

 

বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে আবারও বিপদে পড়েছে।

চতুর্থ দিনের খেলা শেষ করেছে ২৬ রানে ২ উইকেট হারিয়ে। ৭ রানে অপরাজিত আছেন ওপেনার সাদমান ইসলাম। আর শূন্য রানে সতীর্থকে সঙ্গ দিচ্ছেন প্রথম ইনিংসে ক্যারিয়ারের ১৩তম সেঞ্চুরি করা মমিনুল। কানপুর টেস্ট ড্র করতে হলে স্বাগতিকদের চ্যালেঞ্জ উতরে যেতে হবে বাংলাদেশকে।

 

ভারতের ২৬ রান শোধ দেওয়ার পরে স্বাগতিকদের বড় লক্ষ্য দেওয়ার চ্যালেঞ্জ নিতে হবে। শেষ দিনে এই চ্যালেঞ্জটা নিতে হবে সাদমান ও মমিনুলকেই। প্রতিপক্ষকে বড় লক্ষ্য দিতে না পারলে ভারতের প্রথম ইনিংসের ব্যাটিংয়ের বিপরীত চিত্রই দেখাতে হবে বাংলাদেশের ব্যাটারদের। অন্যথা, চেন্নাই টেস্টের মতোই পরাজয়ের স্বাদ নিয়ে মাঠ ছাড়তে হবে বাংলাদেশকে। 
 

এর আগে বেরসিক বৃষ্টির রাগটা বাংলাদেশের বোলারদের ওপর ঝেড়েছে ভারত।

বৃষ্টিতে আড়াই দিন নষ্ট হলেও টি-টোয়েন্টি স্টাইলে ব্যাটিং করে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে ভারত। ৮ দশমিক ২২ রানরেটে ব্যাটিং করে বাংলাদেশি বোলারদের দুঃস্বপ্ন উপহার দিয়েছেন যশস্বী জয়সোয়াল ও লোকেশ রাহুলরা। মাত্র ৩৪.৪ ওভারে ৯ উইকেটে ২৮৫ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে তারা।

 

ব্যাটিংয়ে তাণ্ডব চলানোর পথে রেকর্ডের মালা গেঁথেছে ভারত। ১৪৭ বছরের টেস্ট ইতিহাসে দ্রুততম দলীয় ৫০, ১০০, ১৫০, ২০০ ও ২৫০ রানের সব রেকর্ড নিজেদের করে নিয়েছে স্বাগতিকেরা। ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ৭২ রানের ইনিংস খেলেছেন ওপেনার জয়সোয়াল। তার মতো ফিফটি পেয়েছেন এই সিরিজ দিয়ে টেস্টে ফেরা রাহুল (৬৮)। বাংলাদেশের হয়ে ৪টি করে উইকেট নিয়েছেন সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজ।