তাঁরা মূলত এসেছিলেন বাংলাদেশের ৬৪ জেলার ক্রিকেটারদের পক্ষ থেকে নতুন বোর্ড সভাপতি ফারুক আহমেদ ও পরিচালক নাজমুল আবেদিন ফাহিমকে শুভেচ্ছা জানাতে। শেষ পর্যন্ত ব্যাপারটা অবশ্য শুভেচ্ছাবার্তা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকেনি। নিজেদের জমে থাকা চাওয়া-পাওয়ার কথাও জানিয়ে গেছেন বিসিবি বরাবর।
দেশের জেলা পর্যায়ের প্রায় ৩০০ ক্রিকেটার এ দিন মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়াম প্রাঙ্গণে উপস্থিত হন।
এসব নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিওবার্তা দেওয়ায় ময়মনসিংহ জেলা দলের ক্রিকেটার আসাদুজ্জামান প্রিন্স উল্টো বিভিন্নভাবে বিসিবির কর্মকর্তাদের রোষানলে পড়েন। রিয়াজুল জানান, পরে আসাদুজ্জামানকে ক্ষমাও চাইতে হয়েছে। খুলনা জেলা দলের এই ক্রিকেটার বলেন, ‘আগেও আমরা এসব বিষয় নিয়ে কথা বলতে চেয়েছি।
ক্রিকেটারদের দাবির মধ্যে প্রতিবছরের ঘরোয়া ক্রিকেট লিগের সময়সূচি, জাতীয় ক্রিকেট লিগের প্রত্যেকটি বিভাগে দ্বিতীয় সারির আরেকটি দল গঠন করে লিগ আয়োজন, ঢাকা প্রথম বিভাগে তিন সংস্করণের লিগ, প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগের সেরা ৩০ ক্রিকেটারের সঙ্গে মোট ৯০ জনকে বিসিবির বেতন কাঠামোর আওতায় আনাসহ ক্রিকেটারদের ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনকে (কোয়াব) ঢেলে সাজানোর প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে।
তৃণমূলের এই ক্রিকেটারদের উদ্দেশে নাজমুল আবেদিন বলেছেন, ‘তোমাদের যত দাবি আছে, সব হয়তো এই মুহূর্তে পালন করা সম্ভব হবে না। আমাদের ইচ্ছা থাকবে যতটা সম্ভব করা যায়। তোমরা তো বটেই, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেট যেন লাভবান হয়। সেটা করার জন্য যা যা করা দরকার, সামর্থ্য অনুযায়ী ক্রিকেট বোর্ড সেটা করবে। জেলা ক্রিকেট লিগ চালু করা থেকে দল তৈরি, জেলা পর্যায়ে একটা উইকেট, খেলোয়াড়দের সুরক্ষা, প্রতিযোগিতা বাড়ানো, সব জায়গায় যেন সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এসব ব্যাপার নিশ্চয়ই ক্রিকেট বোর্ড দেখবে। এই ব্যাপারে আমরাও চোখ রাখব। তোমাদের পাশে থাকতে যেন ক্রিকেট খেলে তোমাদের মেধাকে তুলে ধরতে পারো। তোমাদের একটা নিশ্চয়তা যেন থাকে।’