স্পোর্টস ডেস্ক: নিজের যৌন কেলেঙ্কারির ঘটনায় শেষমেশ রেসলিং থেকেই সরে গেলেন ভিন্স ম্যাকম্যাহন। দীর্ঘ ৪০ বছর ডব্লিউডব্লিউই’র শীর্ষ পদে আসীন থাকার পর অবশেষে সেই পদ ছাড়তে বাধ্য হলেন তিনি।
তাকে সবাই রেসলিংয়ের ‘মিস্টার ম্যাকম্যাহন’হিসেবেই চেনেন। রেসলিংয়ের সঙ্গে বিনোদনের মিশেলে ওয়ার্ল্ড রেসলিং এন্টারটেইনমেন্টকে অনন্য এক উচ্চতায় নিয়ে যান তিনি।
যৌন কেলেঙ্কারির তদন্ত চলাকালে গত জুনে ডব্লিউডব্লিউই’র চেয়ারম্যান এবং প্রধান নির্বাহীর পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন ম্যাকম্যাহন।
গত ২২ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে রেসলিং থেকে অবসরের ঘোষণা দেন তিনি। ডব্লিউডব্লিউই’র শীর্ষ পদে জুনেই স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন তার মেয়ে সাবেক রেসলার স্টেফানি ম্যাকম্যাহন।
১৯৮২ সালে বাবা ভিন্স ম্যাকম্যাহন সিনিয়রের কাছ থেকে ডব্লিউডব্লিউই (তখনকার নাম ছিল ডব্লিউডব্লিউএফ) কিনে নিয়েছিল ম্যাকম্যাহন। নিজের কর্তৃত্বে নেওয়ার পর ডব্লিউডব্লিউই’কে পাল্টে দিয়েছিলেন তিনি। টেলিভিশন দুনিয়ায় প্রতিযোগিতাকে এমনভাবে ছড়িয়ে দেন যে, অল্প সময়ে তা বিশ্বজুড়ে বিনোদনের অন্যতম উৎসে পরিণত হয়।
প্রতিযোগিতার আবেদন বাড়াতে আকর্ষণীয় নানা বিষয় যোগ করেন, মিউজিক, স্ক্রিপ্টেড ফাইট, তারকা ফাইটারদের মেগা শোডাউনের আকর্ষণে টিভির পর্দায় আটকে থাকতেন দর্শকরা।
বিশ্বজুড়ে ৩০টি ভাষায় ১৫০টিরও বেশি দেশে টিভির পর্দায় দেখা যায় ডব্লিউডব্লিউই। সাড়া জাগানো এই প্রতিযোগিতা থেকে অঢেল অর্থ আয় করেছেন ম্যাকম্যান। ফোর্বসের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২.৪ বিলিয়ন ডলারের সম্পত্তি রয়েছে তার।
গত এপ্রিলে তার বিরুদ্ধে অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু করে ডব্লিউডব্লিউই বোর্ড। অভিযোগ? প্রতিষ্ঠানের সাবেক এক কর্মীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন তিনি, সে সম্পর্কের খবর ধামাচাপা দিতে এবং ওই কর্মীর মুখ বন্ধ রাখতে প্রায় ৩ মিলিয়ন ডলার ঘুষ প্রদান করেছিলেন।
অভ্যন্তরীণ তদন্তে ম্যাকম্যাহন এবং ডব্লিউডব্লিউই’র নির্বাহী জন লরিনাইটিসের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানের আরও বেশ কয়েকজন নারী কর্মী অসদাচরণের অভিযোগ করে। তদন্তে জানা যায়, ডব্লিউডব্লিউই’র দুই কর্তা তাদের মুখ বন্ধ করতেও মোটা অঙ্কের ঘুষ প্রদান করেন, এজন্য বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১১৩ কোটি টাকা খরচ করেন তারা। এই তদন্ত চলাকালেই নিজের পদ থেকে ইস্তফা দেন ৭৬ বছর বয়সী ম্যাকম্যাহন।