বছরখানেক আগেই যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছেন লিওনেল মেসি। মার্কিন মুলুকে আর্জেন্টাইন কিংবদন্তির পা পড়ায় সেখানকার ফুটবলের খোঁজখবর এখন রাখেন এমন ফুটবলপ্রেমীর সংখ্যাও বেড়েছে হু হু করে। সেই অঞ্চলেই শুক্রবার ভোর থেকে শুরু হচ্ছে লাতিন ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের আসর কোপা আমেরিকার ৪৮তম আসর। মুকুট ধরে রাখার মিশনে উদ্বোধনী দিনেই মাঠে নামছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা।
দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবল কনফেডারেশন (কনমেবল) এবং উত্তর আমেরিকান ফুটবল কনফেডারেশনের (কনকাকাফ) যৌথ উদ্যোগে এবার মাঠে গড়াচ্ছে প্রাচীন এই আসরটি। অংশ নেওয়া দলের সংখ্যা এবার বেড়ে হয়েছে ১৬।
শিরোপাধারী আর্জেন্টিনা যে ফেভারিট হয়েই মাঠে নামছে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। দারুণ ছন্দে থেকেই আসর শুরু করছে চ্যাম্পিয়নরা।
অন্যদিকে আরেক লাতিন জায়ান্ট ব্রাজিলকে চাপে থেকেই আসর শুরু করতে হচ্ছে। কয়েক দিন আগেই সেলেসাওদের সাবেক তারকা রোনালদিনহো ব্রাজিলের এই দল নিয়ে অসন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন। তাঁর দেখা, এই দলই নাকি সবচেয়ে বাজে। সাবেক ফুটবলারের সমালোচনায় চাপ আরো বেড়ে গেছে, তা বলাই যায়। নতুন কোচ দরিভাল জুনিয়রের অধীনে ঘুরে দাঁড়ানোর আশায় ৯ বারের চ্যাম্পিয়নরা। কিন্তু সাম্প্রতিক নৈপুণ্য তাদের হয়ে কথা বলছে না। সর্বশেষ প্রীতি ম্যাচেও যুক্তরাষ্ট্রকে হারাতে পারেনি। তবে ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, রদ্রিগো, রাফিনিয়াদের সঙ্গে এনদ্রিকের সংযোজন আশা দিচ্ছে সেলেসাওদের। কিন্তু গ্রুপ পর্বে কঠিন পরীক্ষাই দিতে হবে ব্রাজিলকে। কলম্বিয়া ছাড়াও এই গ্রুপে ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ কোস্টারিকা ও প্যারাগুয়ে। ২০২২ সাল থেকে কোনো ম্যাচ হারেনি কলম্বিয়া। নেস্তোর লরেঞ্জোর অধীনে অপরাজিত আছে ২৩ ম্যাচ। বিশ্বকাপ বাছাইয়েও ব্রাজিলকে হারানোর সুখস্মৃতি আছে কলম্বিয়ানদের।
রেকর্ড ১৫ বারের চ্যাম্পিয়ন উরুগুয়েকেও শিরোপার রেসে রাখছেন বিশেষজ্ঞরা। যদিও তরুণ দল নিয়ে লড়াইয়ে নামতে যাচ্ছে তারা। এ ছাড়া স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রও প্রতিপক্ষের জন্য হুমকি হতে পারে। ঘরের মাঠের সুবিধা কাজে লাগাতে চাইবে তারাও। ১৪টি স্টেডিয়ামে ১৬ দলের লড়াই শেষে মায়ামির হার্ড রক স্টেডিয়ামে কারা শিরোপা উৎসবে মাতোয়ারা হবে, তা জানা যাবে ১৫ জুলাই মহা ফাইনালের পর।