যেকোনো ফরম্যাটে চোখ বন্ধ করে যে কেউ তাঁকে দলে নিতে চাইবে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট হলে তো কথাই নেই। ইনিংসের শুরুতে, মাঝে এমনকি ডেথ ওভারেও যেকোনো অধিনায়ক দুইবার না ভেবে জসপ্রিত বুমরাহর হাতে বল তুলে দিতে পারেন।
গতকাল পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের ম্যাচের কথাই ধরা যাক না।
আশুতোষ শর্মার ঝলকে ম্যাচ তখন মুম্বাইয়ের হাত থেকে প্রায় বেরিয়েই যাচ্ছিল। বিশেষ করে ১৬তম ওভারে আকাশ মাধওয়াল ২৪ রান দেওয়ার পর ম্যাচে তখন পরিস্কার ফেবারিট পাঞ্জাব। পরের ওভারে রান আটকাতে মুম্বাই অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া বল তুলে দেন বুমরাহর হাতে।
অধিনায়ককে একদমই হতাশ করেননি বুমরাহ।
ওই ওভারে দেন মাত্র তিনরান। বুমরাহর ওভারের রানের ঘাটতি মেটাতে জেরাল্ড কোটজের ওপর চড়াও হয়ে আউট হন আশুতোষ। শেষ পর্যন্ত ম্যাচও হারে পাঞ্জাব। চার ওভারে মাত্র ২১ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন বুমরাহ।
ম্যাচ সেরাও হয়েছেন তিনি। ব্যাটিং বান্ধব টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেও ব্যাটারদের কাছে রীতিমতো আতঙ্কের নাম বুমরাহ। সেই বুমরাহও কি না বলছেন, এই ফরম্যাট বোলারদের জন্য কঠিন।
বুমরাহর মুখেই শোনা যাক সেটা, 'এটা ক্লোজ ম্যাচ ছিল। আমরা যেমন ভেবেছিলাম, তার চেয়েও বেশি।
যখন বল কিছু করে তখন আপনি অবশ্যই প্রভাব ফেলতে চাইবেন। এই ফরম্যাটে বল দুই ওভার সুইং করে। ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় নিয়ম এবং নির্দিষ্ট সময়সীমা-সবমিলিয়ে এই ফরম্যাট বোলারদের জন্য কঠিন। ব্যাটিং লাইনআপ বড় হতেই থাকে, তবে এটা আপনার নিয়ন্ত্রণে নেই।'