উইল জ্যাকসের ঝোড়ো সেঞ্চুরিতে বড় সংগ্রহ পায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। পরে বল হাতে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ব্যাটারদের চেপে ধরেন কুমিল্লার বোলাররা। রিশাদ হোসেন ৪ উইকেট নেওয়ার পর হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন মঈন আলী। দুজনেই চলতি বিপিএলে নিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামেন।
কুমিল্লার ছুড়ে দেওয়া ২৩৯ রান তাড়ায় যেমন শুরু দরকার ছিল, চট্টগ্রাম পায় তেমনই। ৭.২ ওভারে দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও জশ ব্রাউন ৮০ রান তোলেন।
ইনিংস বড় করতে না পারার আক্ষেপ করতেই পারেন তানজিদ। বিশেষ করে অমন ব্যাটিং স্বর্গ উইকেট, তার ওপর ২১ রানে তাঁকে জীবন দেন লিটন দাস। লিটনের হাত থেকে সহজ ক্যাচ পড়লেও তাতে দায় আছে ম্যাথু ফোর্ডের।
অবশ্য তখনো হাল ছাড়েননি সৈকত আলী ও শুভাগত হোম। ষষ্ঠ উইকেটে তাঁরা যোগ করেন ৩২ রান।
চট্টগ্রামের ব্যাটাররা সুযোগ কাজে লাগাতে না পারলেও, একই ভুল করেননি কুমিল্লার ব্যাটাররা। শূন্য রানে জীবন পাওয়া উইল জ্যাকস যেমন অপরাজিত ছিলেন ১০৮ রানে। তাঁর ৫৩ বলের ইনিংস সাজানো ১০টি ছক্কা ও ৫টি চারে। ২৯ ও ৩৮ রানে জীবন পাওয়া আরেক ইংলিশ ব্যাটার মঈন অপরাজিত থাকেন ৫৩ রানে। ২৪ বলে ৫টি ছক্কা ও ২টি চারে এই রান করেন মঈন।
চট্টগ্রামের বোলারদের ওপর স্টিমরোলার চালানোর কাজটা অবশ্য শুরু করেছিলেন লিটন। ৩১ বলে ৬০ রান করে আউট হন কুমিল্লার অধিনায়ক।