দুইটা সম্পূর্ণ বিপরীত দৃশ্য। চট্টগ্রাম নগরীর বিটেক মোড় থেকে স্টেডিয়াম গেইট পর্যন্ত নানা রং-বেরঙের ব্যানার। যেখানে আলাদাভাবে প্রতিটা ফ্র্যাঞ্চাইজির দেশি-বিদেশি ক্রিকেটারদের ছবিসহ ব্যানার তো আছেই। দর্শকদের আগ্রহ তৈরিতেই এমন চেষ্টা, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।

 

 

তবে ওই বিটেক মোড়েই টিকেট কাউন্টারের খাঁ খাঁ দৃশ্য দেখে একটু অবাকই হতে হলো। দর্শকদের আগ্রহ না দেখে একটু হতাশ বিক্রেতারাও। তবে সকাল গড়িয়ে যতো সময় যাবে, টিকেটের চাহিদা বাড়ার আশা তাঁদের। আশাটা বাড়াবাড়ি নয়।

শুরুতে তারকাশূন্যতা থাকলেও বিপিএলে এখন তারকার ছড়াছড়ি। চট্টগ্রাম পর্বে সেটা আরো বাড়ছে বৈ কমছে না। আগামীকাল দুপুর ১ টা ৩০ মিনিটে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ম্যাচ দিয়ে বন্দরনগরীতে বিপিএলের আসল লড়াই শুরু হবে। রাতে খুলনা টাইগার্সের প্রতিপক্ষ রংপুর রাইডার্স।

 

বিপিএলে বিদেশি ক্রিকেটারদের আসা-যাওয়ার মিছিলে চট্টগ্রাম পর্বে যুক্ত হচ্ছে আরো কিছু বড় নাম। খুলনার হয়ে খেলতে আজ ঢাকায় আসবেন ইংল্যান্ড ওপেনার অ্যালেক্স হেলস। আগামীকাল রংপুরের বিপক্ষে তাঁর মাঠে নামার কথা। খুলনার টিম ম্যানেজমেন্ট সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম পর্ব শেষ করেই আবার চলে যাবেন হেলস।

চট্টগ্রাম পর্বেই খুলনা পাচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকার বাঁহাতি পেসার ওয়েইন পার্নেল ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ অলরাউন্ডার জেসন হোল্ডারকে।

নিয়মিত একাদশের দুই পাকিস্তানি অলরাউন্ডার ফাহিম আশরাফ ও মোহাম্মদ নাওয়াজকে পিএসএলের জন্য আগেই ছেড়ে দিয়েছে দলটি। চলে গেছেন পেসার মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়রও। হেলস-হোল্ডাররা নিশ্চিতভাবে দলটির শক্তি বাড়াবে। অন্যদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার এসএ-২০ শেষ করে কুমিল্লা দলে যোগ হচ্ছেন ইংলিশ অলরাউন্ডার মঈন আলী।

 

তা তারকার সঙ্গে দর্শকের আগ্রহ আকাশ ছুঁতে রানও তো চাই। ঢাকার প্রথম পর্ব ও সিলেটে যেটার কমই দেখা মিলেছে। ঢাকার দ্বিতীয় পর্বে অবশ্য কিছু বড় স্কোরের দেখা পাওয়া গেছে। চট্টগ্রাম পর্বে সেটাও পাওয়া যাবে বলে বিশ্বাস শুভাগত হোমের। চট্টগ্রাম অধিনায়ক বলছিলেন, 'চট্টগ্রামে এমনিতে ভালো রান হয়। গত বিপিএলেও আমরা দেখেছি। এবারও আবহাওয়া ভালো। আশা করছি বড় স্কোরের ম্যাচ হবে।'