ম্যাচে তখন চলছিল অতিরিক্ত সময়ের খেলা। ৩-৩ এ সমতায় লড়াই। গোলের দারুণ সুযোগ তৈরি করেছিল ম্যানচেস্টার সিটি। কিন্তু সেই আক্রমণ পেল না পূর্ণতা।

 
পূর্ণতা পাওয়ার আগেই ফ্রিকিকের বাঁশি বাজান রেফারি সাইমন হোপার। কেননা এই আক্রমণের আগেই হালান্ডকে ফাউল করে বসে টটেনহামের এক ফুটবলার। কিন্তু সেসময় ফাউলের বাঁশি না বাজানোয় দ্রুত উঠে আক্রমণে যান হালান্ড। যখনই হালান্ডের বাড়ানো বল নিয়ে গোলমুখের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন গ্রিয়েলিশ তখনই বাঁশি বাজান রেফারি।
 
দেরিতে বাঁশি বাজানোয় নষ্ট হয়ে যায় দারুণ একটি সুযোগ। 

 

রেফারির এমন কাণ্ডে মাঠেই তাৎক্ষণিক সাইমন হুপারকে ঘিরে ধরে ক্ষোভ প্রকাশ করেন আর্লিং হালান্ড ছাড়াও ম্যানসিটির খেলোয়াড়রা। রেফারির সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে হলুদ কার্ডও দেখেন হালান্ড। এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও রেফারির ওপর ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন হালান্ড।

 
ক্ষোভের ভাষাও স্বাভাবিক নয়। সামাজিক মাধ্যম 'এক্স'তে একটি ভিডিও শেয়ার করে হালান্ড লিখেছেন এমন শব্দ, যেটাকে গালি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এমন শব্দ ব্যবহারে শাস্তিও হতে পারে নরওয়েজিয়ান এই ফরোয়ার্ডের।

 

2222
হালান্ডের ক্ষোভ। 

ম্যাচের পর ম্যানচেস্টার সিটি বস পেপ গার্দিওলা বলেছেন,'এটা স্বাভাবিক।

 
অন্য ১০ জন ফুটবলারের মতোই তার (হালান্ডের) প্রতিক্রিয়া একই। নিয়ম বলে আপনি রেফারি অথবা চতুর্থ রেফারির সঙ্গে কথা বলতে পারবেন না। যদি কথা বলতাম তাহলে আমাদের ১০ জন ফুটবলারই লাল কার্ড দেখত। এই রেফারি যদি আজ ম্যান সিটির হয়ে খেলত নিশ্চিত সেও হতাশা প্রকাশ করত।'