অনুশীলন শেষে মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (এমসিএ) স্টেডিয়াম থেকে ততক্ষণে হোটেলের পথে বাংলাদেশ দলের টিম বাস ছেড়ে দিয়েছে। সেখান থেকেই ফোনে সাকিব আল হাসানের বাম উঁরুতে আরেকটি এমআরআই স্ক্যান করানোর কথা শুনে ম্যানেজার রাবীদ ইমাম বলছিলেন, ‘আজ আর ওটা করানো হচ্ছে না। ভারত ম্যাচের আগে তো আরো একটি দিন আছে। দেখা যাক।
সে ধারণা অবশ্য নেটে ব্যাটিং অনুশীলনের পুরোটা সময় ধরেই দিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। চেন্নাইয়ের এম এ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ের সময় বাম উঁরুর ওপরের দিকে টান খাওয়া এই অলরাউন্ডার পরে পুরো ১০ ওভারই বোলিং করেন। তবে ভারতের বিপক্ষে পরের ম্যাচটি খেলা নিয়েও অনিশ্চয়তা তৈরি হয় কিছুটা।
কিন্তু অনুশীলনে যেভাবে ব্যাট চালিয়েছেন, তাতে এদিনই আরেকবার স্ক্যানের প্রয়োজন দেখা দেয়নি। বরং নেটে তাঁর মারা একেকটি ছক্কায় যেন উড়ে গেছে সব সংশয়। এমসিএ-এর মাঠে বাংলাদেশ দলের অনুশীলন হয়েছে সেন্টার উইকেটে। সাকিব অবশ্য শুরুতেই নেটে ঢুকে পড়লেন না। ব্যাট-প্যাড পরে সবার আগে চলে গেলেন জাতীয় দলের সহকারী ফিল্ডিং কোচ ফয়সাল হোসেনের কাছে।
শুরুতে অবশ্য ব্যাটে-বলে করতে একটু সমস্যাই হচ্ছিল তাঁর। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই জড়তা কাটাতে বড় শট খেলতে শুরু করেন সাকিব। ব্যাটে একসময় ঠিকঠাক লাগতেও শুরু করে। শেখ মেহেদীকে যেমন উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে ছক্কায় ওড়ান সবার আগে, বল গিয়ে আছড়ে পড়ে এমসিএ-এর ড্রেসিংরুম প্রান্তের গ্যালারিতে। সেই শুরু, তবে শেষ নয়। স্পিনারদের বেশ খানিকটা সময় খেলার পর নেট বদলান তিনি। চলে আসেন পাশেই পেসারদের নেটে। সেখানেও সাবলীল ব্যাটিং করতে থাকা এই অলরাউন্ডার মারেন ছক্কাও। তাতে উড়ে যায় সাকিবকে ঘিরে সংশয়ও!