জন্মস্থান দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ক্রিকেট চালিয়ে যেতে পারতেন ডেভন কনওয়ে। তবে আন্তর্জাতিক অঙ্গন আর ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে এখন তাঁর যে নামডাক, এর সিকি ভাগও অর্জন করতে পারতেন কি না, সে শঙ্কা থেকেই ২০১৭ সালে পাড়ি জমান নিউজিল্যান্ডে। উপার্জনের জন্য সামনে ইংল্যান্ডের কলপ্যাকের রাস্তা খোলা থাকলেও সে পথে হাঁটেননি কনওয়ে। ‘কিছু একটা’ করে দেখানোর প্রচেষ্টায় দেশান্তরী হন তিনি।
এই দক্ষিণ আফ্রিকানই এখন বিশ্বক্রিকেটে সময়ের অন্যতম সেরা তারকা। তবে জন্মস্থান নয়, তিনি এখন নিউজিল্যান্ডের অধরা বিশ্বকাপ মিশনের স্বপ্নসারথি।
মাত্র আড়াই বছরের ওয়ানডে ক্যারিয়ার কনওয়ের, স্বাভাবিকভাবে এই ফরম্যাটে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলবেন তিনি। আজ নিয়মিত অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের অনুপস্থিতিতে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে নামবে কিউইরা।
ভারতীয় ক্রিকেট বিশ্লেষক ও জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলে এবারের বিশ্বকাপে আলাদা করে কনওয়ের দিকে চোখ রাখতে বলছেন, ‘এই বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ড দলে আমার চোখ থাকবে কনওয়ের ওপর। গত কয়েক বছরে সে ধারাবাহিক ক্রিকেট খেলছে। আমার মনে হয়, ওর ভালো খেলার ওপর টুর্নামেন্টে নিউজিল্যান্ডের এগিয়ে যাওয়া নির্ভর করছে।
ওয়ানডেতে ২১ ইনিংসে ১৫ বারই ওপেন করেছেন কনওয়ে। চার শতকের তিনটি পেয়েছেন এখানে ব্যাট করে। তবে গড়টা বেশি তিনে খেলে। পাঁচ ইনিংসে একটি শতকের সঙ্গে অর্ধশতক দুটি। নিউজিল্যান্ডের টপ অর্ডারের আস্থা তিনি।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও আস্থা জোগানো পরিসংখ্যান কনওয়ের। ৪ ইনিংসে ৪৭ গড়ে করেছেন ১৪৭ রান। বিশ্বকাপের মূল পর্বের আগে দুটি আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি ম্যাচের প্রথমটিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে অবশ্য ভালো করতে পারেননি কনওয়ে। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৭৩ বলে ৭৮ রানের ইনিংস খেলে মূল পর্বের প্রস্তুতি ঠিকঠাকই সেরে নিয়েছেন তিনি। উইলিয়ামসনের অনুপস্থিতিতে এই দক্ষিণ আফ্রিকানই হতে পারেন নিউজিল্যান্ডের তুরুপের তাস।