রাজধানীর মিরপুরের পল্লবীর সাড়ে এগারোর শুটিং স্পটে দগ্ধ ছোট পর্দার অভিনেত্রী শারমিন আঁখি শঙ্কামুক্ত নন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এসএম আইউব হোসেন সোমবার (৩০ জানুয়ারি) ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য জানান।
গত শনিবার (২৮ জানুয়ারি) রাজধানীর মিরপুরের পল্লবীর সাড়ে এগারোর একটি বাড়িতে শুটিং চলাকালে দুর্ঘটনার শিকার হন ছোট পর্দার অভিনেত্রী শারমিন আঁখি। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটে দগ্ধ হয়ে শরীরের ৩৫ শতাংশ পুড়ে যায় তার।
ঘটনার বিষয়ে শারমিন আঁখির স্বামী রাহাত কবির ঢাকা পোস্টকে বলেন, সেদিন আমি তাকে শুটিং স্পটে নামিয়ে দিয়ে আসি। শুটিং স্পটে আমার অনেক সহকর্মী ছিল, তাদের সঙ্গে দেখা করার জন্য আমি ভেতরে যাই। আঁখি শুটিংয়ের জন্য মেকআপ নিয়ে ওয়াশরুমে ঢোকে। কিছুক্ষণ পর একটা বিকট শব্দ হয়। আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি আঁখির পা-মুখ-হাত সব ঝলসে গেছে। সঙ্গে সঙ্গে আমরা তাকে মিরপুরের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাই। যেতে যেতে আঁখি আমাকে জানায়, মেকআপ রুম থেকে মেকআপ নিয়ে ওয়াশরুমে যায় সে। ওয়াশরুমে যাওয়ার পর সে দেখতে পায় লাইটের আলো কিছুটা কমে যায়। এরপরই বিস্ফোরণ ঘটে।
তিনি বলেন, ওই বিল্ডিংটা নতুন করে করা হয়েছে। বাথরুমটি অনেক সাফোকেটেড ছিল। নতুন রঙেরও গন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। আমাদের ধারণা, ভেতরে গ্যাস জাতীয় কিছু থাকার কারণে এই বিস্ফোরণ ঘটেছে।
আঁখির জন্য সবার কাছে দোয়া চান রাহাত কবির। তিনি বলেন, চিকিৎসকরা জানিয়েছেন— তার অবস্থা আশঙ্কাজনক, তবে তার শ্বাসনালী পোড়েনি, সে কথা বলতে পারছে। তার সুস্থ হতে অনেক সময় লাগবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এসএম আইউব হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, অভিনেত্রী শারমিন আঁখির শরীরের ৩৫ শতাংশ ফ্লেম বার্ন হয়েছে। বর্তমানে তিনি ফিমেল হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) ভর্তি আছেন। তাকে আমরা এখন পর্যন্ত শঙ্কামুক্ত বলতে পারছি না।
তার চিকিৎসা চলছে, কোনো আপডেট থাকলে পরে জানানো হবে বলে জানান তিনি।