প্রথমবারের মতো ভারতীয় কোনো সিনেমা গোল্ডেন গ্লোবের পুরস্কার জিতল। এস এস রাজামৌলির হাত ধরেই এলো সেই ঐহিতাসিক মুহূর্ত। স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বসিত ভারতীয়রা। কিন্তু তাদের এই উৎসবেও মন খারাপ করল একটি দৃশ্য। যা দেখে রীতিমতো ক্ষোভ ঝাড়ল নেটপাড়া।

৮০তম গোল্ডেন গ্লোব অ্যাওয়ার্ডের সংগীত বিভাগে ‘নাটু নাটু’ গানের পাশাপাশি মনোনয়ন পেয়েছিল টেলর সুইফটের কণ্ঠে ‘ক্যারোলিনা’, লেডি গাগার কণ্ঠে ‘টপ গান: ম্যাভেরিক’ ছবির ‘হোল্ড মাই হ্যান্ড’, ‘ব্ল্যাক প্যান্থার: ওয়াকান্ডা ফরএভার’ ছবির ‘লিফট মি আপ’ গানগুলো। প্রতিযোগিতায় ছিল গিয়েরমো দেল তোরো পরিচালিত ‘পিনোচিও’ ছবির ‘চায়ো পাপা’ গানটিও। কিন্তু সেরা হওয়ার দৌড়ে সকলকে পেছনে ফেলে পুরস্কার জিতে নিয়েছে ‘নাটু নাটু’।

গোল্ডেন গ্লোব অ্যাওয়ার্ডের মঞ্চে সেরা সঙ্গীতের পুরস্কার পেল ‘আরআরআর’ সিনেমার ‘নাটু নাটু’ গানটি। ঘোষণার সঙ্গেই দাঁড়িয়ে করতালি দিতে দেখা গেল শুধুমাত্র ছবির টিম মেম্বারদেরকেই। বাকিরা ছিলেন নির্বিকার। হাততালি দেওয়ার প্রয়োজনটুকুও বোধ করলেন না। এতে মনঃক্ষুণ্ণ হয়েছেন ভারতীয়রা। গৌরবের মুহূর্তেই যেন প্রকট হয়ে উঠল জাতিবৈষম্য।

পুরস্কার মঞ্চে জয়ের মুহূর্তের ভিডিও ঘুরছে সামাজিকমাধ্যমে। সেখানেই দেখা যায় হলিউডের প্রতিক্রিয়া। ভারতীয় ছবির গান সেরার সম্মান পাওয়ায় বিশ্ব নাগরিকদের অধিকাংশই কোনো উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেননি, তা স্পষ্ট দেখা গিয়েছে। তারপরই ভিডিওর নিচে মন্তব্যের ঝড় বয়ে গেল।

কেউ লিখলেন, ‘হাততালি দেওয়া এত কষ্টের কাজ? মানবিকতা হারিয়ে ফেলেছেন এরা?’ আবার কেউ মন্তব্য করলেন, ‘সবাই জানেন, একেই বলে বর্ণবিদ্বেষ।’ আবার কেউ বললেন, ‘আরে এটা তো মেনে নিতেই হবে যে পৃথিবী শুধু আমেরিকায় সীমাবদ্ধ নয়। বাইরেও শিল্পীরা আছেন।’ কমেন্টের ঘরে এরকম অসংখ্য মন্তব্যে ভরে উঠেছে।

প্রসঙ্গত, এম এম কিরাবাণীর সুরে ‘নাটু নাটু’ গানে কণ্ঠ দিয়েছেন রাহুল সিপলিগুঞ্জ এবং কালা ভৈরব। গানটির কথা লিখেছেন চন্দ্রবোস।