এক সময়ের জনপ্রিয় অভিনেতা সানি দেওল। ২ বছর বিরতির পর আবার তার নতুন সিনেমা ‘জাঠ’ ১০ এপ্রিল মুক্তি পেয়েছে। সিনেমাটির জন্য অধীর আগ্রহে মুখিয়ে ছিলেন তার অনুরাগীরা। সানির পাশাপাশি এ সিনেমায় অভিনয় করেছেন রেগিনা ক্যাসান্দ্রা, রণদীপ হুডা এবং বিনীত কুমার সিং।

আসলে দক্ষিণী সিনেমা এবং বলিউডের এক অপূর্ব মেলবন্ধন তৈরি করা হয়েছে সিনেমাটিতে। সিনেমাটির নির্মাতা, প্রযোজক এবং সংগীত পরিচালক সবাই দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির। শুধু তা-ই নয়, সিনেমাটির গল্পও দক্ষিণের। তবে এতে দক্ষিণী তারকাদের পাশাপাশি অভিনয় করেছেন বলিউডের বড় বড় তারকা।

 

‘জাঠ’ সিনেমায় একজন জাঠের (বলদেব প্রসাদ সিং) চরিত্রে অভিনয় করেছেন সানি দেওল। আর রণতুঙ্গার ভূমিকায় দেখা গিয়েছে রণদীপ হুডাকে। এদিকে সোমুলু এবং সিবিআই অফিসার সত্যমূর্তির চরিত্রে অভিনয় করেছেন যথাক্রমে বিনীত কুমার সিং এবং জগপতি বাবু।

অনেকের মনে প্রশ্ন জেগেছে ‘জাঠ’ সিনেমার গল্প ও নির্মাণ কেমন হয়েছে, সিনেমাটি দেখতে কেমন লাগবে? তারা জেনে নিন যেসব কারণে ‘জাঠ’ দর্শকদের মুগ্ধ করবে-

 

যেসব কারণে সানি দেওলের ‘জাঠ’ দর্শকদের মুগ্ধ করবে

‘জাঠ’ সিনেমার গল্প: চলচ্চিত্র প্রোডাকশন কোম্পানি ‘মৈত্রী মুভি মেকার্স’ ‘জাঠ’ নির্মাণ করেছে। আগে ওই সংস্থা ‘পুষ্পা’ নির্মাণ করেছিল। ফলে এবারও তারা প্রমাণ করল যে, তাদের হাতে অরিজিনাল কন্টেন্টের অভাব নেই। আসলে ‘জাঠ’ হলো সম্পূর্ণ রূপে নতুন গল্প। যা দর্শকদের হলমুখী হতে বাধ্য করবে।

অভিনেতা সানি দেওলের কামব্যাক: ‘গদর ২’ সিনেমার পর প্রায় ২ বছর অতিবাহিত হয়েছে। প্রায় ২ বছর পর সিনেমায় ফিরেছেন হচ্ছে সানি দেওল। ফলে স্বাভাবিকভাবেই তার অনুরাগীরা ব্যাপক উচ্ছ্বসিত। কারণ তারা পর্দায় পছন্দের তারকাকে দেখার জন্য মুখিয়ে ছিলেন।

 

দক্ষিণী ও বলিউডি মিশেল: ‘জাঠ’ এটা এমন একটি প্রথম সিনেমা, যেখানে প্রধান অভিনেতা এবং প্রধান খলনায়ক দুজনেই বলিউডের তারকা। আবার পরিচালক-প্রযোজক এবং সিনেমার প্রেক্ষাপট দক্ষিণী। ফলে দর্শকদের কাছে খুবই স্পেশাল এ সিনেমা।

সিনেমার গান: দক্ষিণের বিখ্যাত সংগীত পরিচালক থামান এস ‘জাঠ’ সিনেমার গীতিকার। ফলে গান থেকে শুরু করে সিনেমার ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর, সমস্ত কিছু দুর্দান্ত। যা প্রশংসার দাবি রাখে। সিনেমাটিতে মাত্র ৩টি গান রয়েছে, সব গানই দারুণ হয়েছে। এর মধ্যে একটি আইটেম গানও রয়েছে। যেখানে পারফর্ম করেছেন ঊর্বশী রাউতেলা।

 

 

 

সিনেমার দৃশ্যে রয়েছে ভয়াবহ নৃশংসতা: ‘জাঠ’ সিনেমার বেশিরভাগ দৃশ্যে রক্তক্ষয়ী এবং নৃশংস দৃশ্য দেখানো হয়েছে। মাথা কেটে নেওয়ার দৃশ্য দেখে মনে ভয় ধরাবে। কিন্তু নির্মাতাদের ওই সব দৃশ্য ব্লার করে দেওয়া প্রয়োজন ছিল।