তাকে দক্ষিণী সিনেমার ‘ঈশ্বর’ বলা হয়। সুপারস্টার তকমাও রয়েছে এ অভিনেতার। তিনি হলেন রজনীকান্ত। আজকে যে আসনে তিনি বসে আছেন সেখানে আসতে তার দীর্ঘ সংগ্রামের পথ পাড়ি দিতে হয়েছে। অভিনয়ে নামার আগে সংসার চালানোর জন্য এ অভিনেতা বাস কনডাক্টার, কুলি, ছুতোরের কাজও করেছেন। জানা গেছে, তিনি এখন ৪০০ কোটি রুপির মালিক। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫৬৩ কোটি টাকারও বেশি।
রজনীকান্তের রয়েছে একটি ব্যক্তিগত জেট বিমান। পরিবারের সবাইকে নিয়ে এই বিমানে ভ্রমণ করেন তিনি। বর্তনামে তিনি দক্ষিণী সিনেমায় সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক নেওয়া তারকা। প্রতিটি সিনেমার জন্য তিনি ১১০ কোটি রুপিরও বেশি পারিশ্রমিক নেন। এ অভিনেতার একটি ম্যারেজ হল রয়েছে। ভারতের চেন্নাইয়ের নামী এলাকায় অবস্থিত সেই হলটির বর্তমান মূল্য প্রায় ২০ কোটি রুপি।
বিলাসবহুল গাড়ির শখ রয়েছে এ অভিনেতার। তার কাছে রোলস রয়েস প্যান্থম। যার দাম প্রায় ১৭ কোটি রুপি। এছাড়াও মার্সিডিস, বেনজ, বিএমডব্লিউ, ল্যাম্বরগিনির মতো দামি গাড়ি রয়েছে রজনীর গ্যারেজে।
আজ (১২ ডিসেম্বর) ভারতীয় সিনেমার ‘থালাইভা’ খ্যাত অভিনেতা রজনীকান্তের ৭৪তম জন্মদিন। প্রতিবারের ন্যায় এবারের জন্মদিনও উদযাপন করলেন তার অনুরাগীরা। এবারের জন্মদিনেও সিনেমা হলের সামনে তার ছবি দেখার জন্য ভক্তদের ভিড় দেখা গেছে। এ সুপারস্টারের জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অন্য তারকারাও। দক্ষিণের আরেক সুপারস্টার কমল হাসানসহ অনেকই অভিনন্দন জানিয়েছেন।
রজনীকান্তের মায়ের নাম জিজাবাই ও বাবার নাম রামোজি রাও গায়কোয়াড। এরা মহারাষ্ট্রের দম্পতি, থাকতেন বেঙ্গালুরুতে। তিনি বেঙ্গালুরুর মারাঠি পরিবারের জন্ম নিয়েছিলেন। পুরো নাম শিবাজি রাও গায়কোয়াড়।
কিংবদন্তি মারাঠি যোদ্ধা রাজা ছত্রপতি শিবাজি মহারাজের নামে তার নামকরণ হয়। প্রথমে কন্নড় ভাষায় নাটকে কাজ করতে শুরু করেছিলেন রজনীকান্ত। সেই নাটকগুলো তৈরি হয়েছিল পুরাণের উপর নির্ভর করে। তার উল্লেখযোগ্য চরিত্র ছিল দুর্যোধন।
রজনীকান্ত তার ৫০ বছরের কর্মজীবনে প্রায় ১৭০টির বেশি সিনেমা অভিনয় করেছেন। টি রামা রাওয়ের ‘অন্ধা কানুন’ রজনীর প্রথম বলিউড সিনেমা। ১৯৮৮ সালে রজনীকান্ত ইংরেজি অ্যাকশন সিনেমা ব্লাডস্টোনে অভিনয় করেন।
রজনীকান্তের লেখা প্রথম চিত্রনাট্য ‘ভালি’। সেই সিনেমায় একটি চরিত্রে অভিনয়ও করেছিলেন তিনি। ১৯৯৫ সালে মুক্তি পায় তার অভিনীত ‘বাসা’, ভারতীয় সিনেমার সব রেকর্ড ভেঙে দেয়। সেই সময়ে এ সিনেমাটি ২৩০ কোটি রুপি আয় করেছিল। তিনি একমাত্র ভারতীয় অভিনেতা যাকে নিয়ে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশনের সিলেবাসে একটি অধ্যায় রয়েছে, নাম ‘ফ্রম বাস কনডাক্টার টু সুপারস্টার’।