ঈদে অক্ষয় কুমারের ‘বাড়ে মিয়া ছোটে মিয়া’র সঙ্গে মুক্তি পেয়েছে অজয় দেবগনের ‘ময়দান।’ ঈদের লড়াইয়ে বক্স অফিসে অক্ষয়ের সামনে তেমন সুবিধা করতে পারছে না অজয়ের সিনেমাটি। তবে বক্স অফিসের হিসাব যাই হোক, দর্শক সমালোচকদের প্রশংসা পাচ্ছে অজয়ের ময়দান। বিপরীতে অক্ষয়ের সিনেমা ঘিরে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
ময়দান বাস্তব ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত একটি চলচ্চিত্র। স্বাধীনতার ৫ বছর পর ১৯৫২ সালে দ্বিতীয় বারের জন্য অলিম্পিকে খেলার সুযোগ পায় ভারতীয় ফুটবল দল। সেই বছর সামার অলিম্পিক হয় ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিঙ্কিতে।
কিংবদন্তী রহিম সাহেবের ভূমিকায় অজয় দেবগনকে দেখে মুগ্ধ হয়েছেন বাইশ গজের মহারাজ সৌরভ গাঙ্গুলী। যে কোনও স্পোর্টস ড্রামা নিয়েই ‘দাদা’র রিভিউ বরাবর নজরে থাকে। এবার বনি কাপুর প্রযোজিত ‘ময়দান’ দেখে প্রশংসায় ভাসালেন সৌরভ।
১৯৫১ থেকে ১৯৬২ সালকে বলা হয় ভারতীয় ফুটবলের স্বর্ণযুগ। ঠিক যেই সময় পায়ে বল নিয়ে ময়দানে দৌড়ে বেড়াতেন দোর্দণ্ডপ্রতাপ সৈয়দ আবদুল রহিম। সেই ঐতিহাসিক পিরিয়ডকেই সিনেমার পর্দায় কাছে তুলে ধরেছেন পরিচালক অমিত শর্মা। সে সময়ে ভারতীয় ফুটবল যে উচ্চতায় পৌঁছেছিল, নিঃসন্দেহে তাঁর অন্যতম কাণ্ডারি ছিলেন রহিম সাহেব। আধুনিক ভারতীয় ফুটবলের রূপকার হিসেবেও তাঁর নাম উল্লেখ করা যায়।
ময়দানে অজয় দেবগন অভিনয় করছেন ভারতীয় ফুটবল কোচ সায়েদ আব্দুল রহিম ওরফে রহিম সাহেবের চরিত্রে। মুক্তির প্রথম সপ্তাহান্তে ভারতে ১০ কোটির মতো আয় করতে পেরেছে সিনেমাটি। অন্যদিকে একই দিনে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘বাড়ে মিয়াঁ ছোটে মিয়াঁ’ প্রথম দিনেই বিশ্বব্যাপী আয় তুলে নিয়েছে প্রায় ৩৬ কোটির মতো। বলাই যায়, ঈদের লড়াইয়ে অজয় বেশ পিছিয়েই আছেন অক্ষয়ের কাছ থেকে।