অল্প কিছুদিন হলো নতুন জীবন শুরু করেছেন অভিনেত্রী ও সংগীতশিল্পী জিনাত শানু স্বাগতা। দ্বিতীয় বিয়ের পর থেকে খোশ মেজাজেই আছেন তিনি। বিভিন্ন সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা ছবি দেখে সেরকম অনুমান তার ভক্তদের। তবে বিয়ের পরপই সংবাদ মাধ্যমে তাদের প্রণয় ও বিয়ে নিয়ে কথা বলছিলেন।
সেসব নিয়ে গত ১৯ মার্চ মঙ্গলবার ভিডিওতে কথা বলেছেন এই অভিনেত্রী। যেহুতু দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে ভক্তরা কথা বলেছেন তাই স্বাভাবিকভাবে অভিনেত্রী ভিডিওতে বার্তা দেন কেন তিনি প্রথম সংসার ছেড়ে এসেছেন।
তিনি বলেন, ‘বিয়ের আগে জীবন থাকে এক রকম। আবার সংসার জীবনে পা দেওয়ার পর জীবন হয়ে যায় অন্য রকম। অনেক সময় দুটো জীবনের ব্যবধান হয় অনেক বেশি। দেখা যায় একসঙ্গে সংসার করা কঠিন হয়ে যায়।
তিনি জানান, তাদের বিয়ে হয় ২০১৫ সালে। প্রথম বিয়ের সাত বছরের মাথায় বিচ্ছেদের পথে হাঁটতে হয় তাকে। সাত বছর সংসার করতে গিয়ে মানসিক ও শারীরিকভাবে তাঁকে চাপের মধ্যে থাকতে হয়েছে।
স্বাগতার এসব বিষয়ে জানতে কালের কন্ঠের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা তার সাবেক স্বামীর সঙ্গে। জানা যায় তিনি এখন চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে আছেন। হাসপাতাল থেকে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে কালের কন্ঠ কে তিনি বলেন, ‘স্বাগতার এসব বিষয়ে আমি কিছু বলতে চাই না। তার জীবন ও ক্যারিয়ার নিয়ে আমার দিক থেকে সবসময় শুভ কামনা থাকবে। স্বাগতা অনেক যোগ্য একজন মানুষ। গুণী মানুষ এবং গুণী শিল্পী। আমার পক্ষ থেকে অনেক শুভ কামনা।’
অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অভিযোগ ছাড়া কোনো মানুষ নেই। কিন্তু আমার কোনো অভিযোগ নেই। আমি মানুষের কাছ থেকে অনেক সম্মান ও ভালোবাসা পেয়েছি। আমি খুব হ্যাপি। তবে এসব নিয়ে যত বেশি কথা হবে তত বেশি মানুষের কাছে মিডিয়া নিয়ে বাজে ধারণা যাবে। আমি সেটা করতে চাই না। আমাদের একটা পরিবার আছে। আত্নীয় স্বজন আছে। তাই এসব নিয়ে যত কথা বলব ততবেশি মানুষের কাছে নেতিবাচক বার্তা যাবে। শুধু তাই না, আমি একটা মেয়েকে জাস্টিফাই করতে চাই না। আমি বিশ্বাস করি স্বাগতা ভালো মানুষ। সে নতুন একটা সংসার শুরু করেছে। একজন ভালো মানুষের সঙ্গে সংসার শুরু করেছে। তার নতুন জীবনের জন্য শুভ কামনা।’
এ সময় তিনি বলেন, ‘আমি কোনো সেলিব্রেটি না। সাধারণ মানুষ। সাধারণ পরিবারের মানুষ। শুধু এতটুকু বলতে পারি আমাদের সাধারণ পরিবারের মানুষেরা ডিভোর্স বা নির্যাতন করর জন্য বিয়ে করে না। তবে আমি চাইবো তার নতুন জীবন সুন্দর হোক।’