১৮ মার্চ সোমবার সন্ধ্যা। পুরো শহরজুড়ে ইফতারের প্রস্তুতি। ইফতার শেষে যখন শরীর ক্লান্ত হয়ে এসেছে তখন এই শহরের এক গায়ক বুকে ব্যথা অনুভব করেন। মাত্র ৫৬ বছর বয়স তাঁর।
কয়েক মাস আগে যখন পরিপাটি নিশ্চিত জীবন রেখে দেশে ফিরেছেন গায়ক খালিদ, তখন নিশ্চয়ই কিশোর সন্তান জুয়াইফা আরিফের কাঁধে হাত রেখে বলে এসেছেন, ‘আবার দেখা হবে, এখনই শেষ দেখা নয়’। পুরো জীবন জুড়ে ‘সরলতার প্রতিমা’ হয়ে থাকা প্রিয়তমা স্ত্রীও আছেন সন্তানের সঙ্গেই।
কিন্তু সেসবের কিছুই হয়নি। সোমবার সন্ধ্যা ৭টার খানিক পরেই বেসরকারি হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক জানিয়ে দেন, ‘কোনো কারণেই ফেরানো গেল না তাকে’। ফেরেননি খালিদ। রেখে গেছেন তার স্ত্রী, সন্তান, সহকর্মী আর অসংখ্য ভক্তদের।
বাবার মৃত্যুর পর সাংবাদিক, উপস্থাপক তানভীর তারেকের মাধ্যমে সুদূর যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভিডিও বার্তা দিয়েছেন সন্তান জুয়াইফা আরিফ। সেই ভিডিওতে সদ্য প্রয়াত বাবার জন্য দোয়া চেয়ে বলেছেন, ‘আমার বাবা হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন। আপনারা সবাই আমার বাবার জন্য দোয়া করবেন। তাকে মাফ করে দিয়েন।’
না ফেরার দেশে চলে যাওয়া খালিদ অপেক্ষা করেননি স্ত্রী আর সন্তানের জন্য। রাতেই লাশবাহী গাড়িতে ছুটে চলেছেন নিজের জন্মস্থান গোপালগঞ্জে। তার আগে মধ্যরাতে ঢাকায় তার বাসস্থান গ্রীন রোডের জামে মসজিদে জানাজা হয়েছে এক দফা। আজ মঙ্গলবার পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত হবেন বাংলা ব্যান্ডের দরদমাখানো এই শিল্পী।