গত ২৭ নভেম্বর গাঁটছড়া বাঁধেন পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় এবং সমাজকর্মী পিয়া চক্রবর্তী। খবরটি জানার পরপরই তাঁদের বিয়ে নিয়ে তুমুল আলোচনা শুরু হয়। টানা দুই-তিন দিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম দখলে ছিল এই জুটির। পাশাপাশি পিয়া চক্রবর্তীর সাবেক স্বামী জনপ্রিয় গায়ক অনুপম রায়কে নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।

 
বলা যায়, তাঁদের এই বিয়ে নিয়ে গঙ্গা-যমুনায় অনেক জলই গড়িয়েছে। সেই জলে ডুবেছে দুই বাংলার ভক্তকুল। 

 

কিন্তু বিয়ে প্রসঙ্গে অনুপম বা পরমব্রত কেউই সেভাবে কথা বলেননি। যদিও দুজন একসময় দারুণ বন্ধু ছিলেন।

 
সেই বন্ধুত্ব থেকেই অনুপমের সাবেক স্ত্রী পিয়ার সঙ্গে প্রেম হয় বলে অনেকের অনুমান। তবে এসব নিয়ে যখন আলোচনা তুঙ্গে তখনই খবর পাওয়া যায় বিয়ের পরদিন হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে পিয়াকে। কিডনিতে পাথরের জন্য বেশ কয়েক দিন ধরে কষ্ট পাচ্ছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত অস্ত্রোপচার করাতে হয় তাঁকে।
 
গুঞ্জন ছিল, তাই আগামী কয়েক দিন স্ত্রীর যত্নে মনোনিবেশ করবেন পরমব্রত।

 

তবে অনেকেই অবশ্য জানতে আগ্রহী ছিলেন হানিমুনে কোথায় যাচ্ছেন এই তারকা জুটি? নাকি পরমের যত্ন পেতে বাসাতেই অবসর কাটাবেন পিয়া? যদিও সে রকমটা হয়নি। গত সোমবার সন্ধ্যায় নিজের ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করেছেন পিয়া। সেই ছবি দেখে অনেকেই বলছেন, পরমব্রত আর পিয়া মধুচন্দ্রিমায় ইউরোপে গেছেন। কারণ ছবির ক্যাপশনে পিয়া লিখেছেন, ‘ডাবলিনে এখন বড়দিনের মরসুম।

 
’ ওই ছবিতে একটি ক্রিসমাস ট্রিও দেখা যাচ্ছে। যদিও দম্পতি মধুচন্দ্রিমায় গেছেন কি না, তা নিয়ে এখনো মুখ খোলেননি এই জুটি। তবে ছবিটি দেখার পর অনেকেই বলছেন, হানিমুন করতে আয়ারল্যান্ডে গেছেন এই দম্পতি।

 

এদিকে যেখানেই যান পরম-পিয়াকে খুব দ্রুতই কলকাতায় ফিরতে হবে। কারণ আজ উদ্বোধন হওয়া ২৯তম কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠান সঞ্চালনার দায়িত্ব পরমের। এদিকে আগামী ২৪ ডিসেম্বর বিয়ের রিসিপশনের আয়োজনও করার কথা রয়েছে।

বিয়ের পর অনুভূতি জানিয়ে সংবাদমাধ্যমে পরমব্রত বলেছিলেন, ‘বেশি বয়সে বিয়ে হলে যেমন লাগে, ঠিক তেমনই লাগছে। এই বিয়েটা প্রথম থেকেই প্রাইভেট রাখতে চেয়েছিলাম। শুধু পরিবারের লোকজনই উপস্থিত ছিল। দেখি পরে হয়তো একটা অনুষ্ঠান করব। সেখানে সবাই নিমন্ত্রণ পাবেন।’ 

উল্লেখ্য, গত ২৭ নভেম্বর পরমব্রতের যোধপুর পার্কের বাড়িতে বিয়ে হয় এই জুটির। কাছের ও ঘনিষ্ঠজনদের নিয়ে খাওয়াদাওয়ার আয়োজন করা হয়েছিল সে রাতেই। তারপর মধ্যরাতে হঠাৎ কোমর-পিঠে যন্ত্রণা শুরু হয় পিয়ার। সেই কষ্ট সহ্য করতে না পেরেই পরদিন হাসপাতালে ছুটতে হয় তাঁকে। এরপর সন্ধ্যার দিকে ঢাকুরিয়ার এক বেসরকারি হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করা হয়। তবে শারীরিক তেমন কোনো জটিলতা না থাকলেও পুরোপুরি সুস্থ হতে বেশ কিছুদিন বিশ্রামে থাকতে হবে তাঁকে। এই পরিস্থিতিতে সহকর্মী-বন্ধুদের নিয়ে বিয়ের পর যে অনুষ্ঠান করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন যুগল, সেটা ২৪ ডিসেম্বর করার কথা রয়েছে।