কিছুদিন আগেই একটি ভিডিও ভাইরাল হয় বলিউড অভিনেত্রী রাশ্মিকা মান্দানার। ডিপফেক প্রযুক্তির ব্যবহার করে অন্য নারীর ভিডিওতে যুক্ত করে দেওয়া হয় রাশ্মিকার মুখ। সেই ভুয়া ভিডিও রীতিমতো তোলপাড় ফেলে দেয় ইন্টারনেটে। শেষ পর্যন্ত আইনের সহায়তা নেন অভিনেত্রী।
অভিনেত্রী কাজলের একটি ডিপফেক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কাজলের ভক্তরাও ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। রাশ্মিকার মতো আইনি ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানাচ্ছেন অভিনেত্রীকে। যদিও এই ভিডিও প্রসঙ্গে এখনো মুখ খোলেননি কাজল।
রাশ্মিকার ডিপফেক ভিডিও নিয়ে মামলার পর মাঠে নেমেছে পুলিশ।
সাম্প্রতিক সময়ে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সকে কাজে লাগিয়ে ভুয়া ছবি, ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার প্রবণতা ক্রমে বেড়েই চলেছে। ‘ডিপফেক’ মূলত এমন প্রযুক্তি, যার সাহায্যে কারো ছবি বা ভিডিও এমনভাবে এডিট করে দেওয়া যাতে আপাতদৃষ্টিতে আসল-নকলের পার্থক্য বোঝা কঠিন হয়ে যায়। এখন এর জন্য AI বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তারও সাহায্য নেওয়া হচ্ছে।
তাই এমন পরিস্থিতিতে ভারতের ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফরমগুলোর জন্য নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। অনলাইনে এ ধরনের ‘ডিপফেক’ ভিডিও ভাইরাল হলে কী কী শাস্তি হতে পারে, তা জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। তথ্য-প্রযুক্তি আইন ২০০০-এর ৬৬-ডি ধারায় স্পষ্ট বলা আছে, কম্পিউটার রিসোর্সকে কাজে লাগিয়ে যদি কেউ যোগাযোগের মাধ্যমকে ভুলভাবে কাজে লাগানোর চেষ্টা করে, কিংবা কোনো ব্যক্তির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়, তাহলে তিন বছর পর্যন্ত জেল এবং এক লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর জানিয়েছেন, প্রত্যেক ভারতীয় যাতে সুরক্ষিত থাকে সেই লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। নাগরিকদের অনলাইন নিরাপত্তা এবং তাদের বিশ্বাস অর্জন করাই মোদি সরকারের কাজ।
সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া