মাগুরার যৌন নিপীড়নের শিকার আট বছরের শিশুটির অবস্থা এখনও অপরিবর্তিত আছে। এখনও তার জ্ঞান ফেরেনি। কৃত্রিম উপায়ে চলছে তার শ্বাস-প্রশ্বাস।
শিশুটির মামা গণমাধ্যমকে আজ রবিবার এসব তথ্য জানিয়েছেন।
আজ তার সর্বশেষ শারীরিক পরীক্ষার রিপোর্ট দেওয়ার কথা রয়েছে। শিশুটির চিকিৎসায় চার সদস্যের একটি মেডিক্যাল বোর্ড কাজ করছে।
এদিকে আজ সকালে সেই শিশুকে দেখতে ঢাকা সেনানিবাসস্থ সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) দেখতে যান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। সেখানে তিনি মন্তব্য করেন, নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, মাগুরায় আট বছরের শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার মামলায় মাগুরা সদর থানায় চারজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং মামলার এজাহারভুক্ত চার আসামিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। দোষীরা যেন কোনোভাবেই ছাড় না পায়, এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সোচ্চার রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) মাগুরা শহরে ঘটনাটি ঘটে। বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যাওয়া আট বছরের শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয় বলে মামলার এজাহারে অভিযোগ করেন তার মা।
শিশুটির মামা জানিয়েছেন, ঢাকা মেডিক্যালে শিশুটিকে দেখতে অসংখ্য মানুষ আইসিইউতে ভিড় করায় শিশুটির সংক্রমণের ঝুঁকি তৈরি হয়েছিল।
এমন অবস্থায় তাকে সিএমএইচ-এ নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। ওই হাসপাতালেও শিশুটি আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আছে।
এদিকে মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরাতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিটিআরসি কর্তৃপক্ষকে তাৎক্ষণিকভাবে এই নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। সোমবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ স্ব-প্রণোদিতভাবে এই আদেশ দেন।