চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে সংবাদকর্মী গাজী মমিনের স্কুলপড়ুয়া মেয়েকে অপহরণ চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। এতে ব্যর্থ হয়ে তাকে মারাত্মকভাবে আহত করা হয়েছে। কেটে দেওয়া হয়েছে মাথার চুল, শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। ঘটনার শিকার ওই স্কুলছাত্রী অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী জানিয়েছে, রাত আনুমানিক ২টার পর কৌশলে বসতঘরে ঢুকে ঘুমন্ত ওই মেয়েকে মাথায় হাত বুলিয়ে জাগিয়ে তোলা হয়। চোখ মেলতেই তার মুখ চেপে ধরে দুর্বৃত্তরা। তাদের সংখ্যা ৩ জন। তাদের একজনের বয়স ২০/২১ বছর অন্যদের বয়স ২৭/২৮ বছর হবে।
এদিকে, ঘটনার শিকার মেয়েটি তার ওপর পরিচালিত নির্যাতনের বর্ণনা দিয়েছেন। তিনি আরো জানিয়েছেন, অপহরণ চেষ্টাকারীরা তার মাথার চুল কেটে দিয়েছে। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, গত কয়েকদিন যাবৎ স্কুলে যাওয়ার পথে দুজন যুবক তাকে নানা অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শন ও অশ্লীল কথা বলেছে। জানতে চাইলে তিনি বলেছেন, বাবা-মাকে লজ্জায় বলিনি। তবে, রাতেই একটি কাগজে পথে উত্যক্ত করার ঘটনা লিখে রেখেছিলাম। সকালে মার হাতে দেওয়ার জন্য।
গণমাধ্যমকর্মী মমিন গাজী ও তার স্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করে যা জানা গেল। এতে ধারণা করা হচ্ছে কেউ রাতে তাদের আধা পাকা বসতঘরের ভেতরে আগে থেকে অবস্থান করছিলেন। রাত ৯টায় মমিন গাজীর কন্যা ও রাত ১১টার দিকে বাবা-মা আলাদা কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন। মমিন গাজী দৈনিক আজকের পত্রিকার ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি। এ ছাড়া, স্থানীয় একটি পত্রিকা ও একটি আইপি টিভিতে রিপোর্টিংয়ের কাজ করেন।
এ বিষয়ে সোমবার সন্ধ্যায় ফরিদগঞ্জ থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত) মো. শাহ আলম বলেছেন, আমরা প্রাথমিক তদন্ত করেছি ও খোঁজ-খবর নিচ্ছি। এ ছাড়া, মমিন গাজীর অভিযোগের অপেক্ষায় আছি। অভিযোগ প্রাপ্তির পর সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অন্যদিকে, এমন ঘটনায় ফরিদগঞ্জের সাংবাদিকরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা, সহকর্মীর মেয়ের ওপর পরিচালিত নির্যাতকদের খুঁজে বের করে দ্রুত আইনের আওতায় নেওয়ার জন্য ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। এ ঘটনায়, ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুলতানা রাজিয়া বলেছেন, আমি ঘটনা শুনেছি ও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)কে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলেছি।