শেরপুর শহরের শহরের গৌরিপুর ও খোয়ারপাড় মহল্লাবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে মিজান (৩৫) নামে একজন নিহত ও অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। নিহত মিজান শহরের গৌরিপুর এলাকার হাফেজ আজাহার আলীর ছেলে। তিনি ট্রলির সিরিয়াল টোকেন শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে শহরের খোয়ারপাড় মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।

 

 

সংঘর্ষের সময় খাবার হোটেলসহ কয়েকটি দোকানপাট ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। দুই পক্ষই মসজিদের মাইকে মাইকিং করে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে লোকজন জড়ো করায় এলাকায় বর্তমানে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পুলিশ এবং সেনাবাহিনী টহল জোরদার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করছে।

শেরপুর সদর থানার ওসি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম দুই মহল্লাবাসীর সংঘর্ষে একজন নিহত ও আরো কয়েকজন আহত হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, মৃত্যুর ঘটনাটি জানার পর জেলা হাসপাতালে অফিসার পাঠানো হয়েছে।

 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শহরের খোয়ারপাড় মোড়ে সিএনজি স্ট্যান্ড, ট্রলি ও ভ্রাম্যমাণ দোকানের চাঁদা তোলা নিয়ে স্থানীয়ভাবে দুটি পক্ষের মধ্যে আধিপত্যের দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এ ঘটনার জের ধরে গত কয়েকদিন ধরে গৌরিপুর ও খোয়াপাড় মহল্লাবাসীর মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। একপর্যায়ে সোমবার রাতে খোয়ারপাড় মোড়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়ালে লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়।

এসময় খোয়ারপাড় মোড়ের খাবারের হোটেল আবির-নিবিড়সহ কয়েকটি দোকান ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের সময় প্রতিপক্ষের পিটুনিতে মিজানসহ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়। আহতদের জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মিজানকে মৃত ঘোষণা করেন।