বিয়ে উপলক্ষে চার দিন আগে দেশে ফিরে আসেন সৌদিপ্রবাসী জুয়েল মাহমুদ (৩৪)। আগামী ২৪ জুলাই তার বিয়ে হওয়ার কথা। এ জন্য দেশে ফিরেই শুরু করেন বিয়ের জন্য কেনাকাটা। কিন্তু তার আর বিয়ে করা হলো না।
নিহত জুয়েল উপজেলার বারৈয়াঢালা ইউনিয়নের পূর্ব ধর্মপুর গ্রামের মো. শাহাজানের ছেলে। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে দিশাহারা হয়ে পড়েছেন জুয়েলের মা-বাবা ও স্বজনরা।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, সৌদিপ্রবাসী জুয়েলের সঙ্গে একই উপজেলার এক মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়। এমনকি তাদের মোবাইলে আকদও সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ২৪ জুলাই বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বউকে ঘরে তোলার প্রস্তুতি চলছিল।
বারৈয়াঢালার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রেহান উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘ছেলেটি বিয়ে করতে দেশে এসেছে। আকদ হয়ে যাওয়া স্ত্রীকে আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে আনার আয়োজন চলছিল।
কুমিরা হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ‘আমরা দুর্ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই লাশ বাড়িতে নিয়ে যায় তার স্বজনরা। এ জন্য আমরা বিস্তারিত তথ্য পাইনি।’
এদিকে দুর্ঘটনার পরে একমাত্র ছেলের লাশ বাড়ি পৌঁছানোর পর পাগলের মতো প্রলাপ বকছেন জুয়েলের মা-বাবা। তাদেরকে সান্ত্বনা দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ছিলেন স্বজনরা। সবার এককথা, একি হয়ে গেল। কী করে এই শোক সইবেন হতভাগ্য মা-বাবা।
এলাকার লোকজন জানায়, যে বাড়িতে শানাই বাজার প্রস্তুতি চলছিল, সেখানে এখন মা-বাবার গগন বিদারী আর্তনাদ। সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা নেই কারো।