বরগুনার আমতলীতে একটি লোহার সেতু ভেঙে ৯ জনের মৃত্যুর ঘটনায় বর ডা. সোহাগ ও কনে হুমায়রার বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। আকস্মিক ওই দুর্ঘটনায় বর ও কনের বাড়িতে চলছে আহাজারি ও কান্নার রোল।
জানা গেছে, উপজেলার চওড়া ইউনিয়নের কাউনিয়া ইব্রাহিম একাডেমি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হলদিয়া ইউনিয়নের গুরুদল গ্রামের মাসুম বিল্লাহ মনিরের মেয়ে হুমায়রার সঙ্গে একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আমতলী পৌর শহরের ৩ নম্বর ওয়ার্ড খোন্তাকাটা এলাকার বাসিন্দা সেলিম মাহমুদের ছেলে ডা. সোহাগের বিয়ে হয়।
গত শুক্রবার (২১ জুন) কনে হুমায়রাকে বর ডা. সোহাগের বাড়িতে তুলে দেওয়া হয়।
এদের মধ্যে রুকাইয়াত ইসলাম ও জাকিয়ার বাড়ি আমতলী উপজেলার গুরুদল গ্রামে। অপর নিহত সাতজনের বাড়ি মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার কোকরারচর গ্রামে বলে জানা গেছে। তারা সবাই কনে হুমায়রার মামাবাড়ির আত্মীয়-স্বজন ও একই পরিবারের লোক।
বরের বাবা শিক্ষক সেলিম মাহমুদ বলেন, ‘এমন ঘটনায় আমি হতভম্ব।
কনের বাবা শিক্ষক মাসুম বিল্লাহ মনির বলেন, ‘আমি কী বলব? শ্বশুরবাড়ির মানুষকে আমি কী জবাব দেব? এলো বিয়ের আনন্দ করতে আর চলে গেল কাফনের সাদা কাপড় পরে।’
এদিকে রুকাইয়াত ইসলাম ও জাকিয়ার জানাজার নামাজ শনিবার রাত ১০টায় নিজ বাড়ি আমতলীর গুরুদল গ্রামে অনুষ্ঠিত হওয়ার পর পারিবারিক কবরস্থানে তাদের দাফন করা হয়েছে। বাকিদের জানাজা আজ রবিবার (২৩ জুন) সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হওয়ার পর তাদের বাড়ি মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার কোকরারচর গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে নিহতের স্বজনরা নিশ্চিত করেছেন।