পরকিয়া প্রেমের টানে দুলাভাইয়ের কাছে ছুটে আসে শ্যালিকা। এ ঘটনায় বোনকে উদ্ধার করতে এসে ক্ষুব্ধ শ্যালকরা দুলাভাইকে কুপিয়ে হত্যা করে বোনকে নিয়ে যয়ে। গতকাল বৃহস্পতিবার (২২ মার্চ) দিবাগত রাতে ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের হাটঘাটা গ্রামে নিজাম উদ্দিনের নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত যুবক নিজাম উদ্দিন (৩৫) হাটঘাটা গ্রামের মৃত. মানিক শেখের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মধুখালী উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের হাটঘাটা গ্রামের নিজামউদ্দিন বিয়ে করেন একই ইউনিয়নের দীঘলিয়া গ্রামের মৃত. জাহিদুল শেখের মেয়ে জামেলা খাতুনকে। বিয়ের পর শ্যালিকা জলি খাতুনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পরেন নিজাম উদ্দিন। সম্প্রতি জলি খাতুনেরও বিয়ে ঠিক হয়।
গত বুধবার (২০ মার্চ) শ্যালিকা জলি খাতুনকে নিয়ে নিজামউদ্দিন ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অসুস্থ আত্মীয়কে দেখতে যান। এরপর সেখান থেকে জলিকে নিয়ে নিজাম উদ্দিন তার নিজ বাড়িতে যান। শ্বশুর বাড়ি থেকে শ্যালিকাকে ফিরিয়ে দিতে বললেও নিজামউদ্দিন শ্যালিকাকে তার কাছে রেখে দেন।
এরই জের ধরে গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে নিজামউদ্দিনের বাড়িতে হামলা চালায় শ্যালক আশুারুল, ইলিয়াস, মামুন, হারুনসহ বেশ কয়েকজন।
গুরুতর আহত নিজামউদ্দিনকে উদ্ধার করে প্রথমে মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখান থেকে ওই রাতেই ঢাকা মেডিক্যালে নেওয়ার পথে নিজামউদ্দিন মারা যান।
মধুখালী থানার উপপরিদর্শক (এস আই) তোফাজ্জেল হোসেন জানান, খবর পেয়ে আজ শুক্রবার সকালে মধুখালী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
তিনি আরো জানান, নিহত নিজামউদ্দিন দুটি বিয়ে করেন। একটি বিয়ে করেন কুমিল্লায় ও অপরটি দীঘলিয়া গ্রামে। শ্যালিকার সঙ্গে পরকিয়া সম্পর্কের কারণেই শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে তার বিরোধের সৃষ্টি হয়। তবে নিজামউদ্দিনের নামে ডাকাতি, মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।