ঢাকা: পৃথিবীর আলো দেখল ঠিকই, কিন্তু স্বাভাবিকতার ছোঁয়ায় নয়। করুণ এ গল্পটা ময়মনসিংহে সড়ক দুর্ঘটনায় মায়ের গর্ভ ফেটে বের হওয়া এক নবজাতকের। নির্মম সড়ক দুর্ঘটনা তো বটেই, সঙ্গে এ এক অলৌকিক ঘটনাও। মায়ের গর্ভ ফেটে রাস্তাতেই ভূমিষ্ঠ হয় জীবিত সন্তানের।

শনিবার (১৬ জুলাই) বেলা পৌনে ৩টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের খান ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

ময়মনসিংহের ত্রিশালে দিনমজুর জাহাঙ্গীর তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে নিয়ে চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন। এ সময় তাদের সঙ্গে ছিল ৫ বছরের মেয়ে সানজিদা।

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ধরে যাওয়ার সময় বেপরোয়া ট্রাক তাদের চাপা দেয়। ঘটনাস্থলেই মারা যান ৩ জন। অলৌকিকভাবে মায়ের গর্ভ ফেটে ভূমিষ্ঠ হয় জীবিত নবজাতক। নবজাতককে সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধার করে নেয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে।

চিকিৎসকেরা জানান, তার ডান হাত আঘাতপ্রাপ্ত। বর্তমানে প্রতিবেশী এক আত্মীয়ের তত্ত্বাবধানে বেসরকারি একটি হাসপাতালে ভর্তি আছে। এখন সে আশঙ্কামুক্ত।

স্থানীয়রা জানান, অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর আলট্রাসনোগ্রাফি করাতে বাড়ি থেকে ত্রিশাল এসেছিলেন জাহাঙ্গীর। রাস্তা পারাপারের সময় ময়মনসিংহগামী একটি ট্রাক তাদের চাপা দেয়। আর তাতেই ঘটনাস্থলে জাহাঙ্গীর, স্ত্রী ও এক সন্তান মারা যায়। কিন্তু অলৌকিকভাবে বেঁচে যায় গর্ভে থাকা নবজাতক। দুর্ঘটনার সময় সড়কেই নবজাতক ভূমিষ্ঠ হয়।

ত্রিশাল থানার ওসি মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন জানান, নিহত জাহাঙ্গীর তার স্ত্রী ও তাদের ৫ বছরের সন্তান নিয়ে তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর আলট্রাসনোগ্রাফি করাতে এসেছিল। রাস্তা পারাপারের সময় ময়মনসিংহগামী একটি ট্রাক তাদের চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই স্বামী, স্ত্রী ও সন্তান মারা যায়। ঘটনার পর ট্রাকটি আটক করা হলেও চালক পালিয়ে যায়।